জয়নাল আবেদিন (শেরপুর জেলা সংবাদদাতা): শিক্ষকের যোগসাজসে আতিউর রহমান আতিক শেরপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড আলহাজ আব্দুস সাত্তার হাসপাতালটি বন্ধ করে দেন।
পরে সাবেক হুইপ আতিক তার নিজ এলাকা ভাতশালায় হোমিও কলেজের আগের নাম পরিবর্তন করে আতিউর রহমান হোমিওপ্যাথিক কলেজ নামে আরেকটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। সাবেক এই হুইপের বিরুদ্ধে তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যেরও অভিযোগ আনেন। তথ্যমতে, আতিকের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ মামলা হলেও অদৃশ্য কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।
রহস্যজনকভাবে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তাকে অব্যাহতি দেয় দুদক। জানা যায়, শেরপুরে ছাত্র হত্যার আসামি হওয়ায় ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আতিক পরিবারসহ আত্মগোপনে চলে যান। শেরপুর সদর-১ আসনের বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলটির শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সাবেক হুইপ ও তার দোসররা মিলে আমার বিরুদ্ধে ঢাকা এবং শেরপুরে ৭৫টি মামলা করিয়েছেন।
আমার মিল ফ্যাক্টরি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। আমার মেয়েকে চাকুরিচ্যুত করেছে। আমার নির্বাচনি এলাকার জনগণের পাশে, নিজ বাড়িতে, দলীয় কার্যালয়ে, রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠানে এমনকি ঈদেও নিজ এলাকায় আসতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের হয়রানি, গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাতে হয়েছে।