মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (জামালপুর জেলা সংবাদদাতা): জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ১৪ নং বানিপাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মায়া বেগম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান শিক্ষক মায়া বেগমের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিভাগীয় শাস্তি প্রদানের জন্য মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। স্মারক লিপিতে এলাকাবাসীর দাবি, ১৪ নং বানিপাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মায়া বেগম সাবেক প্রধান শিক্ষিকা পলি আক্তারের আপন ভাবী। পলি বেগম বিদেশ চলে গেলে অবৈধভাবে মায়া বেগম পলি আক্তারের স্থলাভিষিক্ত হন। দায়িত্ব গ্রহণের পর হতেই মায়া বেগম কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশী মতো বিদ্যালয় পরিচালনা করতে থাকেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয় সংস্কারের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীদের জন্ম নিবন্ধনের প্রত্যয়ন পত্র প্রদান বাবদ ৫০০/১০০০ টাকা আদায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বেশী দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরনের অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ দুস্থ সোসাইটি দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের জন্য চরপলিশা বিদ্যালয় হতে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেও মায়া বেগম ছাত্র ছাত্রীদের নিকট হতে উপকরণগুলো নিয়ে নেন। এমতাবস্থায় শিশু ছাত্র ছাত্রীগণ মনে কষ্ট নিয়ে বাড়িতে অভিভাবকদের জানালে তারা মায়া বেগমের কাছে বিষয়টি জানতে চান।
তিনি অভিভাবকদের তুচ্ছতাচ্ছিল ও ধমকিয়ে তাড়িয়ে দেন। ইতোপূর্বেও মায়া বেগম ২০১৯ সালে বানিপাকুরিয়ার একটি স্বনামধন্য মাদ্রাসার শিক্ষককে ছালাম দিতে ছাত্র ছাত্রীদের বারণ করলে অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনগণ ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে তাকে চাকুরী হতে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য মানববন্ধন ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি দেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মায়া বেগম কে মুঠোফোনে একাধিক যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. আলমগীর হোসেন বলেন, তদন্ত করে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।