হে উম্মাহ,
আমি ফিলিস্তিন।
শতাব্দীর গ্লানি বুকে নিয়ে এখনও
দাঁড়িয়ে আছি—
তোমাদের অপেক্ষায়।
প্রতিদিন আমার আকাশে ড্রোন ওড়ে,
রাতভর কান্না শোনা যায় মাটির নিচ থেকে।
আমার শিশুরা খেতে চায় না— ওরা
শহীদ হতে চায়।
আমার নারীরা বাঁচতে চায় না— ওরা
যুদ্ধে যেতে চায়।
তবু,
তোমাদের হৃদয় কাঁপে না?
তোমাদের তলোয়ার ঘুমায় কেন?
হে উম্মাহ,
তোমরা কি ভুলে গেছো
সালাহুদ্দিনের কসম?
তোমরা কি ভুলে গেছো মসজিদে
আকসার মিনার?
আমার বুক চিরে ট্যাংক চলে যায়,
আর তোমাদের দেশে বাজে গান,
জ্বলে বাতি, চলে উৎসব।
আমি রক্তে স্নান করি।
তোমরা ফুল ছিটাও সিনেমার নায়কের ওপর!
আমি মরে যাই,
আর তোমরা স্ক্রল করে চলে যাও।
তবে শোনো—
আমি কাঁদছি না,
আমি ধৈর্য হারিয়েছি।
আজ আমার বুক থেকে আগুন উঠবে,
আর সেই আগুনে জ্বলবে সব দালাল,
সব কাপুরুষতা!
তোমরা জাগো—
না হলে ইতিহাস তোমাদের নাম
লিখবে “নিষ্ক্রিয় বিশ্বাসঘাতক” বলে।
কারণ, আমি মরবো,
কিন্তু মাথা নত করবো না!
আর তুমি যদি ভাই হয়ে চুপ থাকো—
তবে আমি তোমাকেও ক্ষমা করবো না।
ইতি, রক্তাক্ত কিন্তু অবিচল ফিলিস্তিন।
লেখক: তৌহিদ হাসান