মোঃ মুক্তাদির রহমান শুভ (নারায়ণগঞ্জ সদর সংবাদদাতা): আমাদের নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এমন কিছু কর্মসূচি পালন করতে হবে, যেটা কিনা হবে খুবই প্রশংসনীয় কাজ। অনেকে অনুষ্ঠানের জন্য কার্ড ছাপিয়ে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি করছে এরা কারা? আশাকরি মোটা অংকের চাঁদা থেকে এবার মনে হয় ফতুল্লাবাসী মুক্ত হবে। ফতুল্লার কয়েকটি ওয়ার্ডে যারা চাঁদাবাজি করে সন্ত্রাসী করে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
আপনারা এই ওয়ার্ডগুলোকে চিহ্নিত করুন। এরা কারা, কার লোক। রবিবার (১৮ই মে) বিকেলে সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়োস উদ্দিন এ কথা বলেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাজদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। মনে রাখবেন আপনাদের দেয়া শ্রম হলো বিএনপি। এই দলের ভিতরে যারা অপকর্ম করে তাদের রুখে দিতে হবে। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য দলের ভেতরের অনুপ্রবেশ কারীদেরকে আগে বিদায় করতে হবে। গদফাদারদের বিরুদ্ধে, দলের বিরুদ্ধে যারা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন তাদেরকে কোন ধরনের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
এতো ত্যাগ তিতিক্ষার পর এই ধরনের চাঁদাবাজি আর লুটপাত আর হতে দেয়া যাবেনা। আমাদের দলের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সেটা দেখার বিষয় আমাদের সকলের। গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছি। যে নেতা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, যে নেতা সফল রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করেছিলো, সেই নেতার অবদান বাংলাদেশের জনগন কখনোই ভুলে যাবে না।
ফতুল্লা থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ প্রস্তুতিমূলক সভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ সুলতান, সাধারণ সম্পাদক এড. বারি ভূঁইয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম মাজেদ, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।