মোস্তাফিজুর রহমান : রাজধানী ধোলাইপার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর নকশা বিকৃত করে ভবন নির্মাণ করেছেন আইডিয়া সিটি ডেভেলপার কোম্পানি চেয়ারম্যান শরীফ পাঠান। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে চলছে নির্মাণ কাজ।
স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে নিজের খেয়াল খুশি মত ভবন নির্মাণ করে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছেন। ভবন নির্মাণের শুরুতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর ইমারত পরিদর্শক সাহিদা পারভিন পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকলেও কোন নজরদারির চিত্র চোখে পড়ার মতো নয়।
ব্যাপক অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে নির্মাণ কাজ। আড়াই কাঠা জমির উপর ভবন নির্মাণ শুরু করে বর্তমানে নয় তলার নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও এখনো অনিয়মগুলো রাজউকের দৃষ্টিগোচর হয়নি। এই অনিয়মের কারণে রাষ্ট্রীয় আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন করছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর জন্য একটি সুন্দর নগর উপহার দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেও কিছু অসাধু কর্মচারী বাধাগ্রস্ত করে আসছেন।
জানা গেছে ২০২১ সালের শুরুতে ধোলাই পার স্কুল গলি ৬ ফিট সরু রাস্তায় ২৯ নম্বর মুরাদ ও সোহেল গংদের বাড়ির ২.৫০ কাঠা জমির ওপর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে সিটি ডেভলাপার কোম্পানি। এ ভবন পরিদর্শনের দায়িত্বে সাহিদা পারভিন থাকলেও আবুল হাদিস চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। রাজউকের ইমারত নির্মাণ আইনে নয়তলা ভবনের ৪০ ভাগ জমি ছেড়ে ভবন নির্মাণ করার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি।
১৯৫২ সালের সর্বশেষ সংশোধনীসহ ৩ ধারার বিধান মতে উক্ত নির্মাণ কাজের সমর্থনে রাজউকের ইমারত নির্মাণ কমিটির অনুমোদিত নকশা থাকা প্রয়োজন এবং এই আইনের (১০) ২ অনুযায়ী পরিদর্শনকালে অথরাইজ অফিসার বা ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রদর্শনের জন্য এক ফর্দ নকশা বা অনুমোদন পত্র সংশ্লিষ্ট সাইটে সংরক্ষণ করার বিধান থাকলেও তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
অধিকন্ত নির্মাণ সাইটে অনুমোদন তথ্যসম্বলিত কোন সাইনবোর্ড বা বিলবোর্ড প্রদর্শন করেন নাই। অন্যদিকে নির্মাণ কাজ শুরুর কোন তারিখ রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করা হয়নি।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাওয়া হলে জোন ৭/২ ইমারত পরিদর্শক আবুল হাদিস গণমাধ্যমকে জানান আমি ওখানে এখন দায়িত্ব পালন করছি না আমি শ্যামপুরের দায়িত্বে আছি। অথরাইজড অফিসার ইহসানুল হক বলেন,ওই এলাকায় ইমারত পরিদর্শক আবু হাদীস দায়িত্ব পালন করছেন তার কাছে জেনে নেন।
এসব বিষয় জানতে চেয়ে ডেভেলপার কোম্পানির চেয়ারম্যান শরীফ পাঠানের মোবাইলে ফোন দিলেও ফোন কল গ্রহণ করেননি।