তানজিলা শাহ্ রূবী (নেত্রকোণা জেলা সংবাদদাতা): নেত্রকোণার আটপাড়ায় কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৩শে এপ্রিল সকাল আনুমানিক ৬ টায় আটপাড়া উপজেলার মল্লিকনগর গ্রামের মৃত.সোনাফর মিয়ার ছেলে কাঞ্চন মিয়া ক্রয়কৃত. ৮৫শতাংশ জমির ধান কেটে নেয় একই গ্রামের ১/ মোঃ কামাল মিয়া (৫৫) লাহুুত মিয়া (৬০) ৩/ শেখ সেলিম( ৪০) সর্ব পিতা-মৃত. মনফর আলী , ৪/ গোলাপ মিয়া( ৩০) পিতা- রতন মিয়া ৫ মো আলম মিয়া (৩৫) পিতা- খালেক ৬/ সোনা ফুলি (২৭) ৭/ এনামূল মিয়া (৩০) ৮/ দুরবিন মিয়া (৩৫) সর্ব পিতা- রুস্তম। অভিযোগে আরো জানা যায়,মোহনগঞ্জ উপজেলার মাহমুদ মোবারাকপুর মৌজায় জে এল নং- ৬২২,খতিয়ান নং- ১৮০,দাগ নং- ৮৬১-১৪৬৫, এর ১৭০ শতাংশ মধ্যে . ৮৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে চাষ করে আসছিলেন।
যার দলিল নং- ৫৭১। উক্ত ভূমির ধান কেটে নিবে বলে কিছু দিন যাবত কেটে নিয়ে যাবে বলে অভিযুক্তরা ষড়যন্ত্র করছিল।ঘটনার দিন ভোক্তভোগী কাঞ্চন মিয়া তার জমিতে ধান কাটছে দেখে জমিতে গেলে আসামীগণ তাকে মারধর সহ খুন করার হুুমকি প্রদর্শন করে।
গণমাধ্যম সরেজমিনে গিয়ে ধান কেটে নিতে দেখা যায়।ধান কাটার লোকদের কার নির্দেশে জমিতে ধান কাটছে তখন একজন বলে কালাম বলেছে তারা ১৯ জন লোক আছে বলে জিজ্ঞাসা করেন। অভিযুক্ত কামাল বলেন, এই জমির প্রকৃত মালিক মৃত.নাজিম তার অবর্তমানে তার বড় ছেলে ও স্ত্রী সহ অন্যান্য সন্তানেরা প্রকৃত মালিক ছিল ৮৬১- ১৪৬৫ দাগে মোট ১৭০ শতাংশ ছিল।সেখান থেকে ৩০ বছর পূর্বে এই জমি কিনে চাষ করে আসছেন। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ দুই দলিলের মাধ্যমে ৮৬১ ও ১৪৬৫ দাগে ৮৫ শতাংশ জায়গা নাজিম মিয়ার ছেলে সাবালক হাইউল ও তার পরিবারের কাছ থেকে ক্রয় করে লিখিত দলিলের মাধ্যমে এ জমি ভোগ দখল করেছি।
কিন্তু উনার অংশ বাদ না দিয়ে একসাথে প্রকৃত মালিক খারিজ করে ঢাকাবাসী খলিলুর নামের লোকের কাছে বিক্রি করে দেয় সেখান থেকে সোনাফর মিয়ার ছেলে কাঞ্চন ১৭০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে ।তখন তারা নিষেধ দেওয়ার পরও জমিটা কিনেছে।
তিনি ধান রোপন করেছেন এবং তিনিই ধান কেটে নিচ্ছেন। এদিকে কাঞ্চনের সাথে কথা বললে তিনি জানায় তিনি প্রায় ১৪ বছর আগে ঢাকার পোলিও নামে ব্যক্তির কাছ থেকে জমিটুকু ক্রয় করে এবং ২০০৯ সালে দলিল করে ক্রয় করার পর থেকে জমির দখল দিচ্ছে না । এ নিয়ে পূর্বে মামলা হয়েছিল এরপরেও তারা ধান কেটে নিয়ে গেছে, বাঁধা দিলে খুন করার হুমকি দেয় ।
অভিযুক্ত কামালের নামে কোন কাগজ নেই দলিল আগে একটা করেছিল তখন প্রকৃত মালিক হাইউল নাবালক ছিল এবং তার অন্যান্য ভাই বোনরা ও শিশু ছিল। শাবালক হয়ে নিজের নামে খারিজ করে এবং ঢাকার খলিলুর ও তার স্ত্রী সৌরভী আক্তার উভয়েইর কাছে থেকে ১৭০ শতাংশ বিক্রি করে এবং সেই ব্যক্তি এক দেড় বছর পরে তার নামে বিক্রি করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেক জমি দখলে থাকলেও বাকি অর্ধেক জমে দখলে নিতে দিচ্ছে না অভিযুক্তরা।
তিনি দাবী করে বলেন এ জমি এবং ফসল যেন ফিরে পান। আটপাড়া থানা অভিযোগের তদন্তকারী এস আই আবু হানিফ এর সাথে গণমাধ্যম যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সরেজমিনে গিয়ে ধান সংরক্ষিত পাওয়া যায় এবং অভিযুক্তদের ধান না সরানোর জন্য বলে আসা হয়েছিল এবং উভয়পক্ষকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার কথা বলা হয়েছিল । কিন্তু উভয় পক্ষই আসেনি এবং পরে খবর নিয়ে জানা যায় যে অভিযুক্তরা দান সরিয়ে ফেলে এবং বাদী পক্ষ এ বিষয়ে কিছু বলেননি বা কোন আমলে নেয়নি। তাই বিষয়টি এভাবেই আছে।