(নিজস্ব প্রতিবেদন)

দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক হ্যাপীর ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য সাদাফ সাদের নেতৃত্বে টোলারবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করেন একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ৫ আগষ্টের পর দীর্ঘদিন গা ডাকা দিয়েছিল সাদাফ সাদ।গত ২ মাস ধরে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির ছত্রছায়ায় পুনরায় আবার মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। এলাকায় ছিনতাই,চাঁদাবাজি ও নানান অপকর্ম করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। কয়েকজন ভুক্তভোগী স্হানীয় বাড়ি মালিক সমিতি ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও কোনো সাহায্য তো পায়নি বরং তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী বলেন চাঁদা দিতে না পারায় জোর পূর্বক তাকে হেনস্তা করে নগদ ৩০০০০ টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়। আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সমাধান পাইনি।গত ৪-৫ দিন পূর্বে বিএডিসি কোয়ার্টারে এক বাসায় লোক পাঠিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তার পরিবারকে হেনস্তা করে নগদ ১০০০০ টাকা নিয়ে যায়। এলাকার চায়ের দোকান থেকে জোর করে চা -সিগারেট ও অন্যান্য খাবার খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়।
উল্লেখ্য যে,ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর -১ ও ১০ নম্বর এবং গাবতলী এলাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক হ্যাপির সাথে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মী ও ছাত্রদের উপর সরাসরি হামলার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায় সাদের বিরুদ্ধে। উপরোক্ত মিছিল ৩রা আগষ্ট ২৪ টেকনিক্যাল থেকে মিরপুর -১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হকের নেতৃত্বে ছাত্র হত্যায় অংশ গ্রহণ কারী মিছিলের অংশ।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক এলাকায় সাদাফ সাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে কোনো রিপোর্ট না করতে হুমকি প্রদান করেন।