মোস্তাফিজুর রহমান (বিশেষ সংবাদদাতা): রাজধানী সহ সারাদেশের ঔষধের পাইকারী ও খুচরা বাজার দখল করে আছে অন-অনুমোদিত ও ভেজাল ইউনানী – আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির উৎপাদিত বিতর্কিত সব প্রাণঘাতী ঔষধ, আর এসব প্রাণঘাতী ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী, দুর্নীতিপরায়ণ ও অবৈধ সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায়, এ অভিযোগ ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রের।
অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানা এলাকার শেখদি শনির আখড়ার নবীন ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকার হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু), ট্রাস্ট ল্যাবরেটরীজ ইউনানী ঢাকা, বাংলাদেশ এবং সাভার এলাকার এস-কে ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) অবৈধভাবে অন-অনুমোদিত ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। আর এসব অবৈধ কর্মযজ্ঞ চলছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায়।
জানা গেছে, নবীন ল্যাবরেটরীজ লিঃ ইউনানী উৎপাদন লাইসেন্স নং ইউ-১৯৯ ঢাকা বাংলাদেশ, । অফিস এর ঠিকানা -৩৩/৩ উত্তর গোলাপবাগ এবং কারখানার ঠিকানা- শনির আখড়া শেখদি, থানা যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। উক্ত কোম্পানির মালিক ও ম্যানেজার মিলে মেরী গোল্ড নামক সর্বনাশা সিরাপ খেয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জনস্বাস্থ্য বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার মতো গুরুতর এক অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগ উঠেছে সর্বনাশা প্রাণঘাতী ঔষধ মেরী গোল্ড আবারও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশের ঔষধের বাজার।
এছাড়াও উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত নবীন জাফরান (আরক জিরা) ৪৫০মিলি সিরাপ, ওমেক্স (শরবত শায়লান) ৪৫০ মিলি সিরাপ, নিউবিন (নার্ড টনিক) ৪৫০মিলি ভিটামিন সিরাপ, ট্যাবলেট নক পাল (কুরুছ এহেতেলাব) ১০×৫টি ট্যাবলেট ফ্রিস্টার প্যাকেট, ডায়া ডেস্ট (কুরছ জিয়াবিত) ১০×১০ টি ডায়াবেটিস এর ক্যাপসুল , এপিটোজেন (শরবত সেব) ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ, সেপটোপ্লেক্স (শরবত আনার) ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ।
লিভারিব (শরবত দিনার) ৫৪০ মিলি সিরাপ, নবীন পুষ্টি ক্যাপ (হাব্বে হায়াতিন মুরাক্কাব) বার্ধক্য প্রতিরোধক উচ্চ ক্ষমতা সমন্বয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ক্যাপসুল ৩০টির পট । সাইকোপ্লেক্স (শরবত মডেজ) ১০০ মিলি ভিটামিন সিরাপ এর লেভেল কার্টুনের বাচ্চাদের ছবি দেওয়া আছে যা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ পরিপন্থী, মুদিন (হব্বে দুদিন) ৪×৫=২০টি ক্যাপসুল ব্লিস্টার প্যাকেট, ক্যালসিমন (কুশতা ঘারে মেহেরা) ৪×৪=২০ টি ক্যাপসুল, লিমনিল ৪৫০ মিলি সিরাপ, নবীন নিম ক্যাপসুল, শরবত মুছাফ্ফি ৪৫০ মিলি সিরাপ, নবীন চিরতা ক্যাপসুল (৫×১০=৫০) টি ক্যাপসুল, ভেগাজিন কুরুছ (আওজা) (৫×১০=৫০ টি ক্যাপসুল , সবচেয়ে নিরাপদ প্রকৃতির বাত- বেদনা নাশক ক্যাপসুল (ব্লিস্টার প্যাক) এবং নিকোকফ-১০০ মিলি তন্দ্রাচ্ছন্ন মুক্ত কফ সিরাপ উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ উঠেছে উল্লেখিত ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন কালে কোন প্রকার গাছ-গাছড়ার ব্যাবহার না করেই বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ফর্মুলারী অনুসরণ করা হয়নি বরং অবৈধভাবে সম্পুর্ণ কালার, ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যাবহার করে ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত করছে নবীন ল্যাবরেটরীজ ইউনানীর মালিক পক্ষ।
হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) উৎপাদন লাইসেন্স নাম্বার – আয়ু-১১৬, ঠিকানা- হজী চান ভিলা, নয়াটোলা,হাসনাবাদ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, উক্ত কোম্পানির পূর্বের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, খান সন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু), ৭ নং শহীদ লতিফ রোড,গাওয়াইর,দক্ষিণখান, ঢাকা। উক্ত কোম্পানির বর্তমান মালিক পক্ষ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোম্পানির মালিকানা, নাম ও স্থান পরিবর্তন না করেই ২০২২ সাল থেকে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার আয়ুর্বেদিক ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদ ও বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ ও ছিলো।
অভিযোগ মতে খান সন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এার মালিক প্রিন্সিপাল আব্দুর রব এর আমলে অর্থাৎ ২০/০৬/২০১৬ সালে স্মারক নং-ডিজিডিএ/আয়ু-০৫/৮৫/৯৮৪৮ অনুযায়ী ঔষধের শাস্ত্রীয় নামসহ ১৪ টি ঔষধের চুড়ান্ত মোড়কসামগ্রীর অনুমোদন করেন।
উক্ত ১৪ টি ঔষধের শাস্ত্রীয় নাম ও প্যাক সাইজ যথাক্রমে, আমলকী রসায়ন (তরল), ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, অশ্বগন্ধারিস্ট (তরল), ১০০/২০০/৪৫০ মিলি,উদ্যম (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, চন্দ্রনাসব (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, বলারিস্ট (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, সারিবাদ্যরিস্ট (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, বৃহত বাত গজাঙ্কুশ (ক্যাপসুল) ২৫০ মি,গ্রা, বৃহৎ চন্দ্রোদয় মকরধ্বজ (ক্যাপসুল) ২৫০ মি,গ্রা, নিম্বাদি চূর্ণ (ক্যাপসুল) ৫০০ মি,গ্রা, স্প…