মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (খুলনা জেলা সংবাদদাতা): খুলনার কয়রার উত্তর বেদকাশির ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে রাস্তা নির্মাণে পুরাতন ইট ও কাঁদাযুক্ত বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তাটিতে পুরাতন ইট ও পাথরখালী খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পাথরখালীর মোহাম্মদ গাজীর বাড়ি হইতে ইকবর গাজীর বাড়ির অভিমুখে ৭চেন রাস্তার নির্মাণ কাজ চলমান। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে,কয়রা উপজেলার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) প্রকল্পের বরাদ্দপত্রে দেখা গেছে, কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের পাথরখালীর মোহাম্মদ গাজীর বাড়ি হতে ইকবর গাজীর বাড়ির অভিমুখে রাস্তা ইট দ্বারা নির্মাণ’ করার জন্য ৩ (তিন)লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পুরাতন ইট ও পাথরখালীর খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মাণ করছে। এলাকা বাসির বাঁধার মুখে রাস্তার কাজ কয়েকদিন বন্ধ রাখার পরে আবার শুরু করেছে ,এলাকার প্রভাবশালীদের সহায়তায়। খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে ফসিল জমিসহ বাড়িঘর ,রাস্তাঘাট ভেঙে খালের মধ্যে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার কাজে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি পুরাতন । এতে ব্যবহৃত বালুর মধ্যেও রয়েছে বেশিরভাগ মাটি।
স্থানীয়রা পুরাতন ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করতে বাঁধা দিলেও , ইউপি সদস্য সেটি শুনছেন না। বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত রাস্তাটির মান ভালো না হলে তা বেশিদিন টিকবে না।অভিযোগ আছে, রাস্তাটি নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই অনিয়ম চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন ইট ও কাঁদাযুক্ত বালু।
পাথরখালী গ্রামের অজিত দত্ত বলেন, রাস্তাটি পুরাতন ইট ও কাঁদাযুক্ত বালি দিয়ে তৈরি করার কাজ, ১০-১২ দিন আগে শুরু হয়েছে। ইটের বুনন ফাঁকা ফাঁকা। রাস্তায় এক নাম্বার নতুন ইট বসানোর কথা থাকলেও, দেওয়া হচ্ছে খুবই নিম্নমানের পুরাতন ইট। পিওর বালির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মাটিযুক্ত বালি।
যে পরিমাণ বালি দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। এভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হলে, তা বেশিদিন টিকবে না। একই গ্রামের নিমাই মন্ডল বলেন আমরা নিষেধ করেছি কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনে না। এ বিষয় ইউপি সদস্য কারিম কাছে জানতে চাইলে বলেন দ্রুত কাজটা সম্পন্ন হলে সকলে চলাচলে করতে পারবে। আর যে বাজেট তাতে পুরোটা কম্পিলিট সম্ভব নয়। আর হটাৎ বালু পাওয়া সম্ভব নয় পাথরখালী খাল থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তার কাজে দেয়া হয়েছে। কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মামুনুর রশীদ বলেন, এ বিষয়টি হ্মতিয়ে দেখা হচ্ছে অনিয়ম হয়ে থাকলে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।