এমদাদুল হক মিঠুন (কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা): শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার বাজিতপুর-সরারচর আঞ্চলিক সড়কের পৈলানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের মো. কদর মিয়ার ছেলে মো. সিফাত এবং সৌদি আরব প্রবাসী মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো. হৃদয় মিয়া। গুরুতর আহত আমির হামজা একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. গেনু মিয়ার ছেলে। তারা তিনজন বন্ধু ও একই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিফাত, হৃদয় ও হামজা তিন বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন।
এ সময় পৈলানপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাজিতপুরের ভাগলপুরে অবস্থিত জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাত ও হৃদয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। তবে ঢাকায় নেওয়ার পথেই দুজনের মৃত্যু হয়। আহত আমির হামজা বর্তমানে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ হাসান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। একজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। হয়েছে।