এ কে এম আজহারুল ইসলাম সবুজ (গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা): গাইবান্ধায় ২০ শতক জমিতে সারাবছর এ জনপদের উর্বর মাটিতে বিভিন্ন ফসল চাষ হয়। এবার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে কৃষক দম্পতির।
ধানসহ প্রচলিত অন্য আবাদের পরিবর্তে তারা জেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন ভিনদেশি সবজি বিটরুট। বিটরুটের গাছ দেখতে অনেকটা পালং শাকের মতো হলেও এর রঙে ভিন্নতা আছে। পাতা সবুজ ও লালচে ধরনের। নিচের মূল অংশটি দেখতে গাঢ় গোলাপি বা লালচে বেগুনি রঙের। বিভিন্ন পুষ্টি ও ওষুধিগুণ সম্পন্ন সবজিকে সুপারফুডও বলা হয়। শীতকালে উৎপাদন বেশি হলেও সব সময়ই এর দেখা মেলে।
দামও সারাবছর ভালো পাওয়া যায়। তাই ২০ শতক জমিতে বিটরুট চাষ করে সাড়া ফেলেছেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সুপারির ভিটা গ্রামের ফারুকুজ্জামান ফারুক ও মাহফুজা বেগম। ফারুকুজ্জামান ফারুক ও মাহফুজা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ধান, পাটসহ প্রচলিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য আবাদ করেছেন তারা। কোনো চাষেই তেমন লাভবান হতে পারছিলেন না।
তবে বিটরুট চাষে তিন মাসের ব্যবধানে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভে খুশি তারা। কৃষি বিভাগ জানায়, বিটরুট চাষের জন্য গাইবান্ধার দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। মাত্র ৩ মাসেই ফলন পাওয়া যায়।
এ অঞ্চলে বিটরুট চাষের অপার সম্ভাবনা আছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক দম্পতিকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এটি ব্যাপকভাবে উৎপাদন করতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করা সম্ভব।’