শুক্রবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ ধীরগতির কারণে জনগণের ভোগান্তি চরমে

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

 মোঃ সিরাজুল মনির (চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংবাদদাতা ): চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। প্রকল্প শেষ করার সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের জুনে। তবে এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৭৫  ভাগ। সে হিসেবে প্রকল্পের আরও ২৫ ভাগ কাজ বাকি আছে। যদিও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প কাজ শেষ হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাচ্ছেন না চট্টগ্রাম নগরবাসী। তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিমাণ কাজ হয়েছে, তাতে সামনের বর্ষায় অনেক সুফল মিলবে। নগরজুড়ে আগের মতো আর জলাবদ্ধতা হবে না।
সিডিএ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পায়। ২০২০ সালের জুনেই শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্প কাজ। কিন্তু দফায় দফায় ব্যয় ও সময় বাড়ানোর কারণে এখনও শেষ হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ হয়। এ সময়ে কাজ শেষ হয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে কম। এরপর আরেক দফা সময় বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
এ প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল সংস্কার, ড্রেনেজ নির্মাণ, গার্ডার ব্রিজ, কালভার্ট এবং বন্যার পানি সংরক্ষণের জন্য জলাধার তৈরি করা হচ্ছে। তবে প্রকল্প কাজ শুরুর আগেই নানা অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে গুরুতর অভিযোগ ছিল প্রকল্পটির ত্রুটিযুক্ত নকশা এবং সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই প্রকল্প হাতে নেওয়া। যার ফলে প্রকল্পের ভবিষ্যতে স্থায়িত্ব নিয়েও নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু স্থানে রিটেইনিং ওয়াল সরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পে কাজের মাঝামাঝি সময়ে ব্যয় নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ১০ হাজার ৪২০ কোটি টাকার সংশোধিত প্রস্তাবিত প্রকল্প ব্যয় (ডিপিপি) উপস্থাপন করে সিডিএ। ব্যয়ের যৌক্তিকতা নির্ণয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি সেটি কমিয়ে ৯ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করে। দ্বিতীয় দফায় কাটছাঁট করে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট ব্যয় কমিয়ে ৮ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর আরও কিছু কাটছাঁট করে প্রকল্প ব্যয় এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। বাড়তি ব্যয়ের অর্ধেক সিডিএকে নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করতে বলা হয়।
জানতে চাইলে সিডিএর প্রকল্প পরিচালক আহম্মদ মঈনুদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সময়মতো প্রকল্প কাজ শেষ হচ্ছে। ২০২৬ সালের জুন মাস নির্ধারিত থাকলেও আশা করছি তার আগেই কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ কাজ হয়েছে, তাতেও সামনের বর্ষায় অনেক সুফল মিলবে।
তবে এ প্রকল্পের নকশায় ত্রুটি আছে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, নির্মাণগত ত্রুটি থাকলে পরবর্তী সময়ে সমস্যা হয়। যা ভবিষ্যতে বড় কোনো বিপদের কারণ হতে পারে। বিষয়টি বর্তমানে প্রকল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নিলে একটি টেকসই প্রকল্প হবে। যার সুফল পাবেন নগরবাসী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরীর খালের সংখ্যা ৫৭টি হলেও প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয় ৩৬টি খাল। ৩৬টি খালের পাড়ে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু ভবন ও রাস্তা রক্ষার বিষয়ে মূল নকশায় কোনো পরিকল্পনা ছিল না সিডিএর। ১৫ কিলোমিটার নালা নির্মাণ বাড়িয়ে ৯০ কিলোমিটার করা হয়। কাদা অপসারণের পরিমাণও বাড়ানো হয়। টাইডাল রেগুলেটর, সিল্ট ট্র্যাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নকশাও পরিবর্তন করা হয়েছে। তারপরও সেনাবাহিনীর ৩৪তম ইঞ্জনিয়ারিং ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যুক্ত থাকায় আনুষঙ্গিক অসঙ্গতি দূর হবে, এমনই প্রত্যাশা করছে সাধারণ মানুষ। সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের দৃঢ় আস্থার কারণে এ প্রকল্পে স্থায়ী সুফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী নগরবাসী।
এ প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, প্রকল্প কাজ এখনও শেষ হয়নি। কাজ চলাকালে ছোটখাটো ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে পরে তা ঠিক করা যায়। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে প্রকল্প কাজ। প্রকল্পের সর্বশেষ ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্পের বর্ধিত যে ব্যয় ধরা হয়েছে তার পুরোটা হয়তো লাগবে না। অনেক অর্থ সাশ্রয় হতে পারে।
 এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান চট্টগ্রামের সেবা সংস্থা গুলোর যথাযথ সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো বাধাগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ঠেলাঠেলিতে চলমান কাজগুলো থমকে যাই। তাদের রশি টানাটানির ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। তাই সব সময় ভোগান্তিতে থাকে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কোটাবিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী

রূপগঞ্জে বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ॥ শোভাযাত্রা

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে বাবা ছেলেসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রূপগঞ্জে টঙ্গীর ময়দানে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

মেলান্দহে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ সহ্য করা হবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ

কিডনি রোগের যে লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বকে

দেশ নেএী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা ও গন ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বেপরোয়া দুর্নীতি, উদাসীন ছিলেন দুদকের ৩ কমিশনার

মাদারগঞ্জের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কারাগারে, মুক্তির দাবিতে চলছে হরতাল