প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২১, ২০২৫, ২:১৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ণ
চৈত্রের সকালেও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া ঠাকুরগাঁও

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সাধারণত চৈত্র মাসে শীতের প্রভাব কমে আসে এবং গরম পড়তে শুরু করে। তবে এ বছর চিত্র ভিন্ন। ঠাকুরগাঁওয়ে এখনো ভোরের আকাশ ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়।
সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত কুয়াশার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কিছু দূরত্বের বস্তু দেখতেও কষ্ট হচ্ছিল। ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল ও হরিপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ দেখা গেছে। হালকা শীতের আমেজও অনুভূত হয়েছে। সাধারণত চৈত্র মাসে এমন আবহাওয়া বিরল।
বছরের এই সময়টাতে যখন রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচণ্ড গরম পড়ে, তখন ঠাকুরগাঁওয়ে কুয়াশা ও শীতল বাতাস অনেকের জন্যই বিস্ময়ের বিষয়।কৃষি অফিস বলছে, ঠাকুরগাঁও হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় এখানে দীর্ঘ সময় ধরে শীতের আবহ বিরাজ করে। এবারও সেই প্রবণতা বজায় রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে, তবে ঠাকুরগাঁওয়ে এখনো শীতের অনুভূতি স্পষ্ট।
স্থানীয় কৃষকদের মতে, এ সময়ে সাধারণত আমের মুকুল ও ফসলের গাছগুলোতে গরম আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে। তবে চলমান কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া কিছুটা হলেও ফসলের জন্য ভালো হতে পারে। যদিও দীর্ঘস্থায়ী কুয়াশা ফসলের ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘এই সময়টাতে আমরা গরমের জন্য প্রস্তুত থাকি, কিন্তু এবার এখনো কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। সকালে বের হলে গায়ে চাদর জড়াতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক মো. লমগীর কবির বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ার ফলে এইখানে শীতের মাত্রাটা চৈত্র মাসেও থেকে যায়।তবে আজকে সকালে যে কুয়াশা পড়েছে সেটা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে এটা আবহাওয়ার একটি ব্যতিক্রম রূপ।
Copyright © 2025 স্বাধীন কাগজ. All rights reserved.