মোঃ ইউসুফ আলী (মাদারগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা): জেলা সমবায় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের ৭৩০ কোটি টাকা সমিতি গুলোর কাছে ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩টি সমিতির মধ্যে আল-আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, হলিটার্গেট ও রংধনু অন্যতম।
ছয়টি সমিতির কাছে জমা আছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি। শুধু মাদারগঞ্জের গ্রাহক নয় এ ছাড়া ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদরের কয়েক হাজার গ্রাহক আছে। কেউ বিদেশ থেকে পাঠানো প্রবাসীর টাকা জমা রেখেছে, কেউ জমি বিক্রি করে অধিক লাভের আশার টাকা জমা রেখেছে সমিতি গুলোতে। কেউ অটো চালিয়ে টাকা জমিয়েছে, একসাথে বেশি টাকা উত্তলন করে মেয়ের বিয়ে বা ঘরবাড়ী মেরামতের স্বপ্ন দেখেছে সমিতির গ্রাহক। সমিতি গুলো টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারনে অনেকে আত্যহত্যা করেছে। অনেক মা-বোনের সংসার ভেঙ্গেছে।
অনেক গ্রাহক টাকা উত্তলন করতে না পারায় টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে মারা গেছে। অনেকে মেয়ে সংসার ভাংঙ্গার শোখে মারা গেছে।
অনেক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা তাদের পেনশন এর টাকা অবসর জীবনে একটু সুখের আশায় জমা রেখেছিল সমবায় সমিতি গুলোতে, জীবনের শেষ বয়সে এসে তারা পারছে না কোন কর্ম করতে সামনে ঈদ অথচ অনেক পরিবারের মুখে নেই কোন হাসি। কিনতে পারছে না পরিবারের জন্য পোশাক। এই সমবায় সমিতির প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে অনেক পরিবার হারিয়েছে তাদের মুখের হাসি।
বর্তমান তথ্য অনুযায়ী আমানতের টাকা উদ্ধারে প্রশাসন পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহব্বায়ক শিবলুল বারী রাজু। আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহব্বায়ক শিবলুল বারী রাজুর নেতৃত্বে ২৩ মার্চ রোজ রবি বার জামালপুরের মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতি থেকে আমানতের টাকা ফেরত পেতে জামালপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকগন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও এ এসপির উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখছেন জনাব শিবলুল বারী রাজু চেয়ারম্যান।