জামালপুর জেলা সংবাদদাতা: জামালপুর জেলাধীন মেলান্দহ উপজেলার অন্তর্গত ফুলকোচা আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অজস্র দূর্নীতি ফলাও করে অসংখ্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিশদ বিবরণ সহ উল্লেখ্য থাকা সহ,বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি ও স্থানীয় ছাত্র অভিভাবক ও শুধি মহলের অভিযোগ থাকলেও প্রধান শিক্ষকের নগ্ন হস্তক্ষেপে সবই স্থবির হয়ে গেছে।
এতে করে বুঝাই যায় প্রশাসন এখনো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে অক্ষম বা বতর্মান সরকারের দূনীর্তি বিরোধী কার্যক্রমে একত্বতা পোষনে অনিহা। উল্লেখ্য যে জামালপুর ০৩ আসনের সাবেক সাংসদ মির্জা আজমের ছত্র ছায়ায় বেড়ে উঠা এক দূনীর্তিবাজ প্রধান শিক্ষক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হওয়ার ফায়দায়,ক্ষমতার অপব্যবহার ও পেশীশক্তির প্রদর্শনে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংকের সৃষ্টি করে মির্জা আজমের নাম ব্যবহার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে তার কমর্কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
আরো উল্লেখ্য যে বহুল আলোচিত ফুলকোচা আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের,প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে হারুনুর রশিদ যোগদান করলেও তার লোভ চেপে বসে প্রধান শিক্ষক হওয়ার। শুকৌশলে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারণ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে বসে যায় ক্ষমতার মসনদে।
শুরু করে তার লুট পাটের রাম রাজত্ব। সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়াও বারবার আত্মীয়-স্বজন দ্বারা পকেট কমিটি গঠন করে ২০১৩ সালে অবৈধভাবে নীতিমালা বিরোধী ভাবে প্রধান শিক্ষক হয়ে আরো লাগামহীন হয়ে পড়ে, তার মতের বিরুদ্ধে কোন শিক্ষক কর্মচারী কথা বললে মির্জা আজমের ভয় দেখিয়ে চাকরি চ্যুত করা সহ বিভিন্নভাবে শাস্তি দিয়ে দিত, বিদ্যালয়ের থেকে প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী শিক্ষক ধর্ম, এনটিআরসি থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষক সহ অন্য আরো চারজন শিক্ষককে তাদের সাথে অনৈতিক দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যালয় হতে বিতাড়িত করে।
তার ক্ষমতার অপ ব্যবহারের মাধ্যমে, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ,নিলামে বিক্রি করা পুরাতন ভবনের টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন সামগ্রী আত্মসাৎ,নিয়োগ বাণিজ্য, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে অন্যের জমি দখল সবই তার কাছে পুতুল খেলার মত ছিল। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা থাকলেও ক্ষমতার দাপটে যা মনে হয় তাই করতো। বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সবাই পালিয়ে গেলেও মির্জা আজমের অপকর্মের অন্যতম দোসর কুখ্যাত প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এখনো বহাল তবিয়তে তার দুর্নীতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে কানাঘুষা, সমালোচনা, থাকলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে পুনরূপ পদক্ষেপ না নিয়ে তাকে বহাল তবিয়তে অন্যায় করতে সাহায্য করে চলেছে। সরে জমিন পরিদর্শন করে জানা যায় অত্র ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ তার আচার আচরণে অতিষ্ঠ। শিক্ষার্থীর অভিভাবক বৃন্দ নাম প্রকাশ না করার শর্তে উল্লেখ করেন যে দুর্নীতির বিষ বাষ্প এই কুখ্যাত প্রধান শিক্ষক অত্র এলাকার শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা সহ শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা থেকে নৈতিকতা বিলীন করে দিচ্ছে। এই কুখ্যাত প্রধান শিক্ষককে অপসারণ ব্যতীত কোনভাবেই অত্র এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিদ্যালয়ের কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষক নিজেদেরকে উল্লেখিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছেন।
বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক এটাও বলেন তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অদ্যবধি বিদ্যালয়ের সাকুল্য অর্থ আদায় একক ভাবে নিজের পকেটে রেখে নিজে বিভিন্ন নামে বেনামে ভাউচার দেখিয়ে খরচ করেন অথচ কোন টাকা পয়সা ব্যাংকে লেনদেন করেন না। এমনকি যে সকল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি সুবিধা ভোগ করে তাদের বেতন টিউশন ফি হিসাবে সরকার পরিশোধ করলেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উক্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আবারো অবৈধভাবে বেতন ভাতা গ্রহণ করেন।
যাহা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে কতিপয় অভিভাবক বারবার অবহিত করলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি বারবার নীরব ভূমিকা পালন করেন।