মো:আরাফাত মিয়া (মেলান্দহ উপজেলা সংবাদদাতা): সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে, যা গুদামের কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। গুদাম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষকে প্রতি বছর ৫ লাখ টাকা পৌর কর পরিশোধ করা হলেও, গুদাম কর্তৃপক্ষ তাদের কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরিষাবাড়ী খাদ্য গুদামটি জামালপুর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সংরক্ষণাগার। এখানে ধান, চাল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য মজুত রাখা হয়। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই গুদাম চত্বরে হাঁটু পানি জমে যায়।
এতে খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, পাশাপাশি শ্রমিক ও কর্মচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গুদাম সংশ্লিষ্টরা জানান, বহুবার পৌর কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অবহিত করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
নিয়মিত মোটা অঙ্কের পৌর কর পরিশোধ করা সত্ত্বেও তারা পৌরসভার কাছ থেকে ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, এবং পর্যাপ্ত আলোর অভাবসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত গুদাম এলাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিসুল ইসলাম বলেন, আমরা সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায়, খাদ্য গুদামের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি খাদ্যশস্যের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।