মুহাম্মদ ইসমঈল হোসেন (জামালপুর জেলা সংবাদদাতা) :জামালপুরে শিক্ষক শিক্ষার্থী জনতার হাতে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সারা জেলা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে অভিভাবকদের। ভিডিওতে দেখা গেছে, সেই শিক্ষক মো. নুরুল আলম সিদ্দিকী বসে ব্রেঞ্চে। পাশেই দাঁড়ানো রয়েছে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। মেয়েটি বার বার ভিডিও না করার জন্য বলছেন। নীরব ভুমিকায় মাথা নিচ দিকে রেখে বসে আছে সহকারী শিক্ষক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি ভিডিও দেখে স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাকে দ্রুত বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি জামালপুর জেলা প্রশাসক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালে হয়রত শাহ জামাল র: স্কুল এন্ড কলেজে সহকারী শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিক @ লেবু (কৃষি) হিসেবে যোগদান করেন ।
যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ১০ বছর বরখাস্ত ছিলেন৷ পরবর্তীতে মামলা ও রাজনৈতিক তদবীরে আবারো চাকুরি শুরু করেন। তিনি জামালপুর শহরের পাথালিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। গত ২ জুলাই বুধবার রাতে হাট চন্দ্রা এলাকায় স্থানীয়রা সহকারী শিক্ষক লেবু ও সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের প্রথম বর্ষের ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে আটক করে স্থানীয়রা ।
তাকে নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীদের রয়েছে অহরহ অভিযোগ। হযরত শাহ জামাল (রঃ) স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক নুরুল আলম সিদ্দিকী জানান, ভিডিও কে বা কারা ভাইরাল করেছে জানিনা। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এডিয়ে যান।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় তার স্ত্রী শিখা মুঠোফোনে জানান, গত বুধবার আমার চাচার অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে আজম চত্তর (বর্তমান বিজয় চত্তর) যান আমার স্বামী। সেখানে গিয়ে মোড়ে দেখতে আমার চাচাত বোন ও তার ছাত্রী সোহাগীকে।
তিনি আরো জানান, সোহাগীকে দেখে কিছু নেশাগ্রস্ত পোলাপান বিরক্ত করতেছে এটা বুঝে আমার স্বামী সোহাগীকে নিয়ে রিক্সায় উঠে বাড়ীর উদ্দেশ্যে আসতে থাকলে হাটচন্দ্রা এলাকায় রাত ৮ টার দিকে আটকিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবী করে। দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পরে এলাকার মুরুব্বিরা এসে ছাড়িয়ে দিয়েছে।
কথা হলে হযরত শাহ জামাল (রঃ) স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ মুঠোফোনে জানান, ভিডিওটি যেমন আপনারাও দেখেছেন, তেমনি আমিও দেখেছি। খোজ খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।