এম,শাহজাহান, (ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতা): শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পুষ্টিগুণে ভরা সবজি হিসেবে কাঁকরোল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। কাকরুল চাষ করে উপজেলার গৌরীপুর ও নলকুড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের মূখে হাসি ফুটেছে।
নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গান্ধীগাও শালচুড়া হলদীগ্রাম ফাকরাবাদ জারুল তলা ও গৌরীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গজারীকুড়া ধারাপানীসহ অন্যান্য গ্রামের কৃষকরা বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করেন।
যার মধ্যে অন্যতম হলো কাঁকরোল চাষ। এ উপজেলার কৃষকরা বর্তমানে কাঁকরোল চাষের ওপর নির্ভরশীল।এখানকার কাঁকরোল জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। চাষীরা তাদের জমি থেকে চাষকৃত কাঁকরোল বিক্রি করে সংসারের চাকা সচল রাখছেন বলে জানান স্থানীয় কৃষক বাবুল মিয়া। কৃষক তারা মিয়া বলেন, কাঁকরোলের বীজ কাঁকরোল গাছের নীচে হয়ে থাকে। যা দেখতে মিষ্টি আলুর মত। মার্চ ও এপ্রিলে এই সবজির বীজ রোপণ করা হয়। চারা গজানোর ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া সম্ভব।
স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল একই গাছে হয়না তাই বাগানে দুই ধরনের গাছ না-থাকলে ফলন কম হয়। পূর্ব গজারীকূড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম, ওরফে (কাইল্লা ছালাম) বলেন, কাঁকরোল চাষে বিঘাতে খরচ প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। য
দি ফলন ও দাম ভাল হয় তবে প্রতি বিঘায় লাখ টাকার উপরে কাকরুল বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরহাদ হোসেন বলেন, কাকঁরোল চাষীদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। এবছর ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে কাকঁরলের চাষ হয়েছে। পুষ্টিগুনে ভরা কাকঁরোল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়. ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।