রবিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

তালার ইউএনও কতৃক সাংবাদি টিপু কে জেল অতঃপর ইউএনও পক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে মানববন্ধন,সাধারণ মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
এপ্রিল ২৭, ২০২৫ ১০:০৩ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

এস এম ইদ্রিস আলী  (খুলনা ব্যরো সংবাদদাতা): সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসের দায়িত্ব ফেলে মানববন্ধন করানোকে ঘিরে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় তালা ডাকবাংলোর সামনে তালা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় এর সভাপতিত্বে ও তালা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, অধ্যাপক গোলাম ফারুক, জাহাঙ্গীর হোসেন, কলেজ শিক্ষক নেতা অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষক নেতা জগদীশ হালদার, আদর্শ শিক্ষক পরিষদের নেতা অধ্যাপক আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় ডিএসডি নেতা মীর জিল্লুর রহমান, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম এবং ইমাম পরিষদের নেতা মাওলানা তাওহিদুর রহমান প্রমুখ।

ইউএনও শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে চলমান অনিয়মের অভিযোগ এবং সম্ভাব্য বদলি ঠেকাতে কিছু ঠিকাদার ও রাজনৈতিক কর্মী মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধন সফল করতে ঠিকাদারদের অর্থায়নে দলীয় কিছু নেতাকর্মীকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বক্তারা ইউএনও রাসেলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে বলেন, তিনি তালায় যোগদানের পর থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। উল্লেখ্য গত ২২ এপ্রিল তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের ৯ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুর সঙ্গে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এমএম মামুন আলমের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্য গ্রহণ করে সাংবাদিক টিপুকে ১৭৬ ধারায় ১০ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

ঘটনার পর সারাদেশে সাংবাদিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ইউএনও রাসেলের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই সময়ে তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে ইউএনও রাসেলের পক্ষে আরেকটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজিব সরদার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন্নাহার, কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার প্রভাষ কুমার দাশ প্রমুখ।

সরকারি কর্মকর্তাদের মানববন্ধনে অংশ নেওয়ায় তালার সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, সরকারি দপ্তরের কাজ বাদ দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক আমলার পক্ষে মানববন্ধন করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভূমি অফিসের নায়েবদের মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটা নতুন করে একটি উস্কানি সৃষ্টি করছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস টাইমে অফিস থেকে বাইরে বের করে এনে ইউএনওর পক্ষে মানববন্ধন করানো এটা অযৌক্তিক। এবং আজকে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের পাশেই উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে তারা প্রোগ্রাম করেছে, এগুলো যুক্তিসঙ্গত নয়। ইউএনও বেআইনিভাবে সাজা প্রদান করেছেন যা একপাক্ষিক করেছেন, এটি আইনসঙ্গত হয়নি। বেআইনিভাবে উনি যে রায়টি দিয়েছেন সেখানে আইনের যথাযথ বিধানগুলো যথার্থ প্রয়োগ না করে তিনি একজন সাংবাদিককে এইভাবে শাস্তি দিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে বিষয়টা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার নতুন করে উনি নিজের পিঠ বাঁচাতে উস্কানির জায়গা তৈরি করছেন।

আমি ওনার ফেসবুক আইডিতে দেখেছি, উনি ওনার পক্ষে যারা মাঠে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তিনি এটি করতে পারেন না। তিনি যেটা করছেন সেটি ঠিক না। এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও শেখ মো. রাসেল বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও মনগড়া। একটি উপজেলার সব রাজনৈতিক দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে আপনি কি টাকায় কিনতে পারবেন? তারা সবাই এখানে এসেছে এবং বিশেষ করে যারা আমাকে চেনে, স্থানীয় আশেপাশের যে ব্যবসায়ীরা আছেন, বাজারের ব্যবসায়ী সবাই আমাকে চেনে। এই বাজারের একটি খাল কেটেছি।

এছাড়াও দৃশ্যমান কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়েছি, যার কারণে তারা দোকান থেকে বের হয়ে সামিল হয়েছেন, আমি দেখেছি এবং শুনেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের মানববন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অফিসের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। আমি পরে ছবি দেখেছি, আমাদের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা সেখানে দাঁড়িয়েছেন। সরকারি ১৭টি হস্তান্তরিত ডিপার্টমেন্ট এবং আরো ৮টি ডিপার্টমেন্ট—মোট ২৫টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।

সরকারি অফিসাররা কি বেতন পায় না নাকি? তারা অবশ্যই তাদের নিজেদের সেফটির জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। কারণ, তাদেরই একজন সহকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, যার কারণে আমি হেনস্তার শিকার হয়েছি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, মানববন্ধনের বিষয়ে আমি শুনেছি। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, পরে জামিন দেওয়া হয়েছে। কেউ তো আর আইনের ঊর্ধ্বে না।

যেহেতু আমি ইমোশনালি—আপনি সাংবাদিক, আমি জেলা প্রশাসক—এটা তো কোনো ব্যাপার না। ইউএনও রাসেলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন আয়োজনের জন্য টাকা ছড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ইউএনওর কি এত টাকা হয়ে গেছে টাকা দিয়ে মানববন্ধন করাবে? কারণ সে আজ আছে কাল নেই, অর্ডার হলে সে চলে যাবে।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ধামইরহাটে বড়দিন উপলক্ষে বেনীদুয়ার ধর্ম পল্লীতে উপহার প্রদান করেন ইউএনও

নীলফামারীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর

সমালোচনা করতে গিয়ে জনদাবি থেকে সরা যাবে না : তারেক রহমান

ঈদ উৎসব ঝামেলামুক্ত হওয়ায় কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ

১০ জন নিয়েই আবাহনীকে আটকে দিল মোহামেডান

কাতার আমিরের মায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

রূপগঞ্জে সানরাইজ মডেল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

পরীমনি-তিশার ঝামেলা কী মিটলো?

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা থামাতে জাতিসংঘের প্রতি চীনের আহ্বান

সুন্দরগঞ্জে সেচ মোটরের লাইসেন্স দিয়ে দুই বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে কৃষককে হয়রানি