মোঃ হাসান (রায়পুর সংবাদদাতা): রাজধানী ঢাকার বংশাল এলাকায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভ্যানচালক রিপন হোসেন মারা যান। মামলার তদন্তের প্রয়োজনে দাফনের ৬ মাস পর ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পূর্ব পান পাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবব্রত দাস উপস্থিত ছিলেন।
নিহত রিপন পূর্ব পান পাড়া গ্রামের চত্বর ভূঁইয়া বাড়ির মৃত ইদ্রিস মিয়া ও সুফিয়া বেগম দম্পত্তির ছেলে। তিনি ঢাকায় কোতোয়ালি থানা এলাকার ভ্যান চালক ছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে গত ৫ আগস্ট বিকেলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ‘লংমার্চ টু ‘ঢাকা কর্মসূচিতে রিফান্ড গুলিবিদ্ধ হন। সাথে আগস্ট শ্যামলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে রামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এই গঠনাই নিহতের স্ত্রী শামীমা আক্তার রুমে বাদী হয়ে দুই শতাধিক লোককে আসামি করে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত রিপনের স্ত্রী শামীমা আক্তার রুমা’ বলেন গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। বিচার পেতে আমি মামলা করেছি।
স্বামীকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই। রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি )দেবব্রত দাস বলেন; মামলার তদন্তের প্রয়োজনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।