নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রতিক দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সাবেক (অফিস সহকারী) উপ-পরিচালক ভাগিনা মাহবুব এর ইতোমধ্যে শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্য ফাঁস হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের কাঙ্ক্ষিত আস্থার স্থল দুদক হলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারণে গোটা প্রতিষ্ঠান কে প্রশ্ন বিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এ অসাধু উপ-পরিচালক বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কে- ব্লকের ১০ নম্বর রোডে ১০ তলা ভবনের একটি বহুতল ভবনে ২ টি ফ্ল্যাট কিনেছেন দুদকের সাবেক পিওন মাহবুব আলম। মা হোসনেয়ারা বেগমের নামে কেনা এ ফ্ল্যাট দুটির ইন্টেরিয়র এবং ডেকোরেশনের খরচ হিসেবে প্রতিটি ২ কোটি টাকা। ঢাকার নন্দীপাড়ায় রয়েছে ১০ কোটি টাকা মুল্যের বাগানবাড়ী।
ময়মনসিংহ, জামালপুরে রয়েছে শত বিঘা জমির ওপর মাছের খামার। মাহবুব আলম ওরফে ভাগিনা মাহবুবকে নিয়ে ৫ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন একটি চৌকস টিম । শিঘ্রই তাকে নিয়ে করা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রচারিত হবে।
এছাড়াও তাঁর এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে আরো অনেক সম্পদের তথ্য রয়েছে এ টিমের হাতে। দুদকের বড় বড় দুর্নীতির কেসগুলোতে বিনিয়োগ করে,নিজের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে মামলা তদন্তের নামে কোটি কোটি টাকা নেয় মাহবুব। তাকে নিয়ে ইতোপূর্বে একাধিক গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও অদৃশ্য কারণে রয়েছেন মহান তবিয়তে।
মাহবুব আলম দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের ডিডি হিসেবে কর্মরত। চাকুরি পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হেড অফিসেই কর্মরত আছেন। টেনে টুনে ম্যাট্রিক পাস করে পিওন থেকে চাকুরি জীবন শুরু করা মাহবুব এখন দুদকের উপ পরিচালক।
তার পদন্নোতিতেও রয়েছে অনেক গোপন রহস্য যা অচিরেই জনস্বার্থে প্রকাশ পাবে। দুদকে তার পরিচিত ভাগিনা মাহবুব নামে।