সোমবার , ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ সাতক্ষীরা তালার কৃতি সন্তান অতিরিক্ত আইজি আলীম মাহমুদ

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
এপ্রিল ২১, ২০২৫ ৬:১৩ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

এম ইদ্রিস আলী (খুলনা ব্যুরো সংবাদদাতা):  দেশ ও মানুষের কল্যাণে মানবিক কাজে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা তালার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজি আলীম মাহমুদ। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা এখন সাতক্ষীরা সহ দেশের গর্ব। মানবিক কাজ করায় কর্মক্ষেত্রেও তিনি পেয়েছেন অপরিসীম সন্মান।

যার ফলে পুলিশ কর্মকর্তা আলীম মাহমুদ বাহিনীতে যোগদানের পর থেকে পেয়েছেন বহু রাষ্ট্রীয় সন্মান। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) সেবা পদক পেয়েছেন তিনি। দুই বার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক ও দুই বার আইজিপি ব্যাজ অর্জন করেছেন ।

কর্মক্ষেত্রে সততার স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন । রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রথম কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন । সেখান থেকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও পরে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের ডিআইজি হিসেবেও সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মোহা: আবদুল আলীম মাহমুদ অতিরিক্ত আইজি পদে পদোন্নতি লাভ করে নৌপুলিশের প্রধান হিসেবে দায়িত্বেও ছিলেন ।

বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত আছেন এই চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। নিজ কর্মস্হানে সাফল্যের সাথে পথ চলা ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করা এই মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা তার মেধা ও সততাকে কাজে লাগিয়ে তার জন্মস্থান তালার লক্ষণপুর গ্রামে ভাই-বোন , আত্মীয় -স্বজন ও গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় বাবার নামে গড়ে তুলেছেন এতিমখানা ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

সেখানে শত শত এতিম শিশুসহ গরিব বাচ্চারা কোরানের আলোই আলোকিত হচ্ছে। তিনি এখনো পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া কৃষি জমিতে চাষাবাদ করেন। বর্তমানে অতিরিক্ত আইজি আলীম মাহমুদ তালা উপজেলা তথা সাতক্ষীরা জেলার একজন মহান মানুষ হিসেবে সকলের কাছে সুপরিচিত।কিন্তু সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, এই চক্রটি তার কর্মস্থলে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অতিরিক্ত আইজি আলীম মাহামুদ এর নিজ জন্মস্হান তালা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে তথ্য সংগ্রহের জন্য সরেজমিনে গিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ সহ আশপাশের গ্রামের মানুষের কাছে জানতে চাইলে সকলে এক বাক্যে বলেন আলীম খুব নম্র, সৎ, ধার্মিক , ভদ্র,দানশীল ও মানবিক মানুষ।

এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের ।এসময় তারা বলেন, আমাদের গর্ব অতিরিক্ত আইজি আলীম মাহমুদ ।তার জন্য আমাদের গ্রাম সহ আশপাশের সকল এতিম সন্তানগুলো আজ কুরআনের শিক্ষা নিয়ে মানুষের মত মানুষ হতে পারছেন। বিনা মূল্যে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ৫০০ এর অধিক পরিবারের সদস্যদের সারা বছর ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন , সকল গরিব অসহায় মানুষের অসহায়ত্বের খবর পেলেই সেখানে ছুটে যান তিনি। তার পাশে দাঁড়িয়ে যতটুকু সম্ভব গ্রামের মানুষকে সাথে নিয়ে সহযোগিতা করেন তিনি ।এমন মানুষের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নিবো না।

আমাদের জানা মতে তিনি উপকার ছাড়া কাউকে কোন দিন ক্ষতি করেনি। তিনি কোন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়াতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। অতিরিক্ত আইজি আলীম মাহমুদ আমাদের দেশের গর্ব।

মানবিক কাজ ও মানুষের আস্তা অর্জনে সাফল্যের বিষয়ে আলীম মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন, আমার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, এলাকার ধর্মপরায়ণ ও দানশীল ব্যক্তিদের দান-অনুদানে আমার গ্রামের বাড়িতে এতিমখানাটি পরিচালিত হয়। এছাড়া ও করোনাকালে এতিম ও অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে রংপুরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে ‘মানবতার বন্ধনে রংপুর’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি।

এ ছাড়া রংপুরের দর্শনা এলাকায় ‘মানবতার বন্ধনে এতিমখানা ও মাদ্রাসা’ এবং মদামুদন এলাকায় ‘মানবতার বন্ধনে এতিমখানা ও হেফজখানা’ নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান করেছি। এসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় দানশীল ও ধর্মপরায়ন মানুষের সহায়তা নিয়ে গঠিত এবং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কারও নিকট থেকে জোর-জবরদস্তি করে কোন অর্থ আদায় করা হয় না।

মানবিক কাজের পাশাপাশি নিজের সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ৩০ বছরের চাকরি জীবনে সরকারের দেওয়া বেতন-ভাতা পেয়েছি। এ ছাড়া দুই দেশে তিনি প্রায় ২৮ মাস শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় পরীক্ষা এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান করেন। এসব উৎস থেকে পাওয়া আয় এবং ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছি।

সম্পদের বিষয়ে আলীম মাহমুদ আরও বলেছেন, রংপুর, সাতক্ষীরা ও ধামরাইয়ের জমিসহ সব স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি তার আয়কর ফাইল এবং সরকারি কর্মচারী কর্তৃক দাখিল করা সম্পদ বিবরনীতে আছে। এর বাইরে তার আর কোনো সম্পদ নেই। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া জমি এখনো বণ্টন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমার ভাইবোন এবং আত্মীয় স্বজন সবাই তাদের পেশায় প্রতিষ্ঠিত এবং সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করছেন । আমার পুরো চাকরিজীবনে অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করে চলেছি।

সর্বশেষ - সংবাদ