মোঃ রফিকুল ইসলাম খুলনা জেলা সংবাদদাতাঃ
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।
খুন, অস্ত্রের মহড়া, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাটের মতো ঘটনা খুলনার বিভিন্ন জায়গায় বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি এবং মানুষ খুনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনা। সর্বশেষ দৌলতপুরে সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানসহ গত ১০মাসে মহানগরীতে ২৭টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। খুলনার সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বলেন, মহানগরী খুলনার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায়ভার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা কোনভাবেই এড়াতে পারেনা।
শুক্রবার (১১জুলাই) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের খবরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিগত ০৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও খুলনার প্রশাসন এখনো পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারে। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন পলাতক ও জেলে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরে এসে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের মত নির্মম ঘটনা ঘটাচ্ছে। এছাড়া কিশোর গ্যাং-এর সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে খুলনার সাধারণ মানুষ। খুলনার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করে বিএনপি নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করতে ব্যর্থ হলে সরকার এই দায়ভার এড়াতে পারবেন না। নগরবাসির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দরা।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট, শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।