(শেরপুর জেলা সংবাদদাতা): জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুরের নকলা উপজেলার ধুকুরিয়া এলাকায় নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ করার দায়ে গত ১৯ মে ‘পলিন কসমেটিক অ্যান্ড হারবাল কারখানাটি সিলগালা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকালে ঘন্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট শেখ তাকী তাজওয়ারের নেতৃত্বে এনএসআই এবং বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা।
অভিযান শেষে বিএসটিআই এর বিভাগীয় কার্যালয়, ময়মনসিংহের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) প্রকৌ: হাসনাত (সিএম) এবং ফিল্ড অফিসার প্রকৌ. শাওন কুমার ধর আবীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন: আমরা ময়মনসিংহে মাত্র দুইজন কর্মকর্তা, কয়টা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব! পলিন কসমেটিকস এন্ড হারবাল প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ প্রায় ৭/৮ বছর যাবত নকলায় নকল প্রসাধনী তৈরি করে আসছে। আমরা ২য় বারের মতো সিল গলা করেছি সে যতদিন পর্যন্ত বিএসটিআই লাইসেন্স না করবে ততদিন পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ থাকবে।
নকল প্রসাধনী উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বিক্রির দায়ে কারখানা বা মালিকের বিরুদ্ধে জেল জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে, নির্বাহী মেজিস্ট্রেট শেখ তাকী তাজওয়ার বলেন, আমরা একই প্রতিষ্ঠানে ৩দিনের ব্যবধানে দুইবার অভিযান পরিচালনা করেছি, প্রতিষ্ঠান মালিককের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার পরও সে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি, তাই নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসাধনী তৈরির নকল কারখানার ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফায়ার লাইসেন্স, বিএসটিআই লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্স এবং কেমিস্ট তদারকি ছাড়াই ৪৫ টি আইটেম তৈরি করে সাধারণ মানুষের বা ভোক্তাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণার দায়ে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে কোন সদুত্তর দেননি বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা।
আটা, ময়দা, সয়াবিন তেল এবং কেমিক্যালের মিশ্রণে তৈরি ইন্ডিয়ার জনসনের মতো দামি দামি প্রোডাক্ট তৈরির নকল কারখানা বন্ধ সহ মালিকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পলিন কসমেটিকস এন্ড হারবাল কারখানার মালিক আনোয়ার হোসেন পলিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে: দেশে এমন কত নকল কারখানা রয়েছে তারা যেভাবে মাসোহারা দিয়ে চালায়, আমিও সেইভাবে চালাচ্ছি।
বিএসটিআইয়ের লোগো এবং অন্যান্য লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে তা দেখাতে ব্যর্থ