মোঃ রফিকুল ইসলাম (খুলনা জেলা সংবাদদাতা): খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, অন্তর্বরতী সরকারের ‘প্রতিশ্রুতি’ অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। হামলা-সংঘর্ষের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে কটূক্তি এবং দলের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারও নির্বাচন বন্ধের নীলনকশা তৈরি করা হচ্ছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) ছোট বয়রা কাওসার জামে মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায়ের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষ এবং রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক যুবকেকে হত্যা সহ এর আগে-পরের কিছু ঘটনায় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দেশের মানুষ ১৭ বছর পরে ভোট প্রদানের জন্য আগ্রহ ভরে অপেক্ষায় আছে তখন আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। লন্ডন বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না।
এর পর থেকেই ষড়যন্ত্র, ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি দেশকে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে, এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারলে দেশে তাদের এক ধরনের কর্তৃত্ব থাকবে। নির্বাচন হলে তারা হয়তো ক্ষমতায় যেতে পারবে না-এটি ভেবে বিএনপি ঠেকানোর অংশ হিসেবে নানা ঘটনার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেছেন ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন এবং মসজিদকে রাজনীতি মুক্ত রাখার আহ্বান জানান। এ সময় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শফিকুল ইসলাম শাহিন, কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ আজিজুর রহমান, মোস্তফা কামাল, শওকত আলী লাবু বিশ্বাস, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোল্লা মিজানুর রহমান, সৈয়দ নাদিম আশফাক,কাদের মল্লিক, বাদল নূর সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।