তানজিলা শাহ্ রূবী (নেত্রকোণা জেলা সংবাদদাতা): নেত্রকোণা সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের মশুয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউনিয়নের মশুয়া এলাকায় আওয়ামী সমর্থিত কয়েকটি পরিবারের উপরে হামলা ও লুটপাট করে ঐ এলাকার বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।যার ক্ষতি প্রায় ৪০ লক্ষ্য টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৮ ই জুন রাত আটটায় নেত্রকোণা সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের মশুয়া গ্রামের মৃত. আব্দুল মসজিদের ছেলে সোহাগ সহ ৩-৪ জন ডেউটুকুন নামক জায়গায় হতে আসার সময় কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আ: কুদ্দুস এর বাড়ির সামনের দোকানে বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি ইসলাম খাঁর ও আব্দুল কুদ্দুসের ভাই এর নেতৃত্বে আর ১০-১৫ তাদের উপর হামলা চালায়।
তখন সেখান থেকে দ্রুত সোহাগসহ কয়েকজন দৌড়ে আসে কিন্তু একজনকে ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাদের অপরাধ একটাই ৪ নং ওয়ার্ডের জুবায়ের হোসেনের চাচাতো ভাই এবং তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এর ঘন্টাখানেক পর মশুয়া বাজারে সাবেক সভাপতি আ: কুদ্দুস হামলা শিকার হয়ে আহত হয়ে বর্তমানে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর জেরে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সহ তারিখ সোহাগ ও মৃত.হযরত আলী ছেলে রিপন বেগের বাড়িঘর ভাঙচুর সহ ধান গরু ছাগল ঘরের আসবাবপত্র লুট করে।
লুট করার সময় প্রায় ৭০ – ৮০ জন । আরো জানা যায় দ্বিতীয়বার ৯ তারিখ পুলিশ ঘটনাস্থল আসেন এবং বিস্তারিত পরিদর্শন করে যান এর কয়েক মিনিট পরে দুষ্কৃতিকারীরা আবার লুট করে ও ভাঙচুর করে। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয় এবং তীব্র নিন্দা ও জানান। এদিকে ভুক্তভোগী সোহাগ জানায়, তিনি ডেউটুকুন কোন ঘর থেকে আসার সময় তাদের সাথে কোন প্রকার কথা না বলেই তাদের উপর হামলা চালায় এবং দৌড়ে পালিয়ে আসেন কিন্তু মধ্যে একজনকে গড়ে আটকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়।
মেম্বার চাচাতো ভাই এবং সে আওয়ামী লীগ করায় ঘর থেকে ৪০-৫০ মন ধান ও দুটি গরু এবং ঘরবাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেছে। অথচ তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয় শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থক মাত্র বলে জানান। এদিকে ৪ নং ওয়ার্ডের জুবায়ের মেম্বারের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি ৫ আগস্ট এর পর থেকেই বাড়িতে থাকতে পারছেন না বিএনপি নেতাকর্মীদের কারণে এর আগেও মারামারি হয় এর কেন্দ্র করে তার চাচাতো ভাই সোহাগকে আটকে মারধর করে।মশুয়া বাজারে আব্দুল কুদ্দুস পূর্ব দিক থেকে আশা দেখে মারধর করে।তিনি নিজেও সেখানে থেকে প্রতিরোধ করছিলেন তবুও তার বাড়ি লুটপাট ভাঙচুর আসবাবপত্র, ৪শত মণ ধান,৭টি গরু ও ৫টি ছাগল যা আনুমানিক প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। অথচ গত ১৭ বছরে তাদের অত্যাচার তো দূরের কথা কোন মামলাও পর্যন্ত হয়নি। অথচ ৫ আগস্ট থেকে ঘরছাড়া।
এদিকে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে তারা বলে ওরা আওয়ামী লীগ করে এবং ওরা নিজেদের বাড়িসহ সব কিছুই নিজেরাই সরিয়েছে। উল্টো বিনাদোষে তাদের সাবেক ভারঃ সভাপতি আঃ কুদ্দুসের উপর হামলা করেছে।
এদিকে ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান সাথে কথা বলে জানা যায়- দুটি পক্ষই কয়েকদিন পর পরে সংঘাতের সৃষ্টি করে ।তারা একজন আরেকজনের ছায়া দেখতে পারেনা। গত ১১জুন বিএনপির জেলার নেতৃবৃন্দদের নির্দেশে ঐ এলাকায় পরিদর্শন করতে যান তখন তিনটি গরু ও পরে দুইটি গরু উদ্ধার করে ওই ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নাফ এর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং যারা এই গরুগুলো এবং বিভিন্ন লুটপাট করেছে তাদের বিচার দলীয়ভাবে করা হবে বলে আশ্বাস দেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীদের।
তবে এমন ঘটনা তীব্র নিন্দা জানান তিনি। ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে নেত্রকোণা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, ঘটনার সময় ছুটিতে ছিলেন এবং এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ ও হয়নি।