মো: আকাশ ( বিশেষ সংবাদদাতা): বগুড়া জেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজের আশপাশে আবাদযোগ্য জমি থেকে মাটি কাটার অবৈধ ঠিকাদার ও সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে একটি শক্তিশালী চক্র।
অবৈধ ঠিকাদার ও সিন্ডিকেট আবাদযোগ্য জমির উর্বর মাটি কেটে ফেলছে এবং কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার অযোগ্য করে তুলছে।
ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে কৃষি উর্বর জমিগুলো একের পর এক ডোবা-নালা ও গর্তে পরিণত হচ্ছে। আর এসব ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
বগুড়া সদর উপজেলার, এরুলিয়া ইউনিয়নের কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল), আবার কোথাও কৃষি জমির মাটি গভীর গর্ত করে স্কেভেটর দিয়ে তুলে প্রতিদিন শত শত ট্রাকে ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন জায়গায় এই ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছে।
অতিরিক্ত মাটি সরানোর কারণে ইতিমধ্যেই এরুলিয়া ইউনিয়নের
অধিকাংশ আবাদি জমিগুলো বিশাল বিলে পরিণত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ফসলী জমির মাটি কাটার কারণে ধীরে ধীরে জমিগুলো উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। শত শত একর জমি ডোবা-নালা হওয়ার কারণে কৃষি জমি বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, তারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন আসেনি। তারা বলেন, এসব মাটি সরবরাহের জন্য মালিক ও সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই আবাদি জমির উর্বর মাটি কেটে দেদারছে নিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিতে গেলে তাদেরকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘মাটি কাটার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।’
স্থানীয়রা আরো বলছেন, ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে থেকে ফসলী জমির মাটি কাটা বন্ধের জন্য প্রশাসনের নিকট সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।