শনিবার , ৫ জুলাই ২০২৫ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

বাগেরহাটে হ্যাম‌কো গ্রু‌পের কারখানায় ডাকাতি করে কোটি টাকার মালামাল লুট

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ৫, ২০২৫ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ রফিকুল ইসলাম (খুলনা ব্যুরো): বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হ্যামকো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর আওতাধীন ‘এনজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে’ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে ১ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, গত শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মুখোশ পরিহিত ১৫ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল নিরাপত্তা প্রহরীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় ৭ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৪ জন শ্রমিককে বেঁধে রাখে।

এরপর তারা কোম্পানির গুদামে ঢুকে সেখান থেকে এ্যালুমুনিয়াম বার ১৫ টন, তামার তার আড়াই টন এবং বৈদ্যুতিক তার ১ টন দুটি ট্রাকে করে নিয়ে রাত ৪টার দিকে পালিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা বাঁধন খুলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।

এসব মালামাল ও জিনিসপত্র প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য গুদামজাত করে রাখা হয়েছিল। ডাকাতদের সাথে দেশীয় অস্ত্র ছিল বলে শ্রমিকরা জানান।

হ্যামকো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো: সিদ্দিকুর রহমান জানান, দুই দিন ছুটি থাকায় শ্রমিকরা সন্ধ্যায় কারখানা ত্যাগ করেছিল।

ডাকাত দল রাত ৮টার দিকে নিরাপত্তাকর্মিদের ভয় দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রায় ৮ ঘন্টা অবস্থান করে। পরে ডাকাত দল ট্রাকে করে ভোর ৪টার দিকে এসব মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, ‘শনিবার (৫ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো: রবিউল ইসলাম শামীমসহ পুলিশের একটি দল সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।

সেখানে যেয়ে জানতে পারি একদল ডাকাত নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কোম্পানী থেকে বিভিন্ন মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - সংবাদ