জয়নাল আবেদিন (শেরপুর জেলা সংবাদদাতা): তারেক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, বক্তব্য শুরুতে, বলেন জেগে থাকো জায়গায় জায়গায় মিছিল হয়, স্লোগান উঠে। ফিরে আসার সাহস করে। আওয়ামিলীগ এর সুবিধাভোগীরা এখনও বিভিন্ন জায়গায় সুবিধা নিচ্ছে।
হত্যা মামলার আসামিরা উপদেষ্টা হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গের পরিচালক চেয়ারম্যান হচ্ছে, শাহাবাগীরা উপদেষ্টা হচ্ছে।আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন ইলেকশনে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিরা উপদেষ্টা পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদে কি কাজ হচ্ছে সেই বর্ণনা আর না-ই বা দিলাম। সারা দেশে কোন মামলা নেই। কয়জন গ্রেফতার হয়েছে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কুসুম কুসুম হুমকি ধামকি দিয়েই যাচ্ছে, জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অংশ নেওয়া ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের কোনো উদ্যোগই নেই। আওয়ামী গ্রেফতারকৃত অনেকেই টাকার বিনিময়ে পগার পার।
হাসিনার পরিবার সদস্য ছাড়া কেউ দেশের বাইরে ৬ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারে নাই। ৬ তারিখ থেকে এখন অব্ধি আওয়ামীলীগদের কারা দেশের বাইরে যেতে হেল্প করল এর সঠিক হিসাব, উত্তর আমাদের কাছে জানা নাই। এটা জানা দরকার,এটা ছাড়া ঐক্য টিকে থাকবে না। খু’নিরা রাস্তায় নামার হুমকি দেয় কেন জানেন?কারন ৫ তারিখের পর তাদেরকে সাইজ না করে উদারতা দেখানো হয়েছিল এবং টাকার কাছে বিক্রি হয়েছিল কিছু ব্যাক্তি সেই জন্যই।এটা বুঝার জন্য রকেট সাইন্স এর দরকার নাই।
এটা প্রতিরোধ প্রতিহত করার কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে নাই। সংস্কার হচ্ছে কিন্তু মূলত কি সংস্কার হচ্ছে সেটাও দৃশ্যমান না। প্রথম সংস্কার হওয়ার কথা ছিল ইলেকশন কেন্দ্রিক সেটা আস্তে আস্তে পড়ে গেছে সিরিয়ালের সবার পেছনে। এই বিষয়গুলোর সঠিক উত্তর না জানা পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উপর আমার বিশ্বাস ফিরে আসবে না। সমন্বয়করা ভুল করবে। আমরা সেই ভুলের সমালোচনা করবো। কিন্তু তাদের পুরো জাতির শত্রু বানানোর চেষ্টা করবেন না। ছাত্রলীগের পাতানো ফাঁদে পা দিবেন না।
একে একে সকল সমন্বয়ককে টার্গেট করছে তারা।স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। দেশের স্বার্থে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। রাজনৈতিক দল গুলো এবং সমন্বয়কদের সমন্বয় জরুরী। সমন্বয়করা অলরেডি ভুল করেছে এখান থেকে তাদের ফিরে আসা উচিত। অনুশোচনা করে সমন্বয় করা উচিত। ষড়যন্ত্রকারীদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র এক সাতগে রুখে দিতে হবে। ছাত্র সমন্বয়করা ধীরেধীরে জনপ্রিয়তা আর বিশ্বস্ততা হারাচ্ছেন। এটা খুবই বেদনাদায়ক একটা বিষয়। এর তিক্ত ফল শুধু তারাই না, অন্য সবাইকেও ভোগ করতে হবে।
কারণ এটা যত তলানিতে নামতে থাকবে, ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে মোকাবেলা করার ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকবে।
বিপ্লবকে বেহাত হতে দেওয়া যাবে না এটা রাজনৈতিক দলগুলো আমরা বলছি কিন্তু এটা সমন্বয়কদেরও চিন্তা করতে হবে মাথায় আনতে হবে। আমরা জানি আমাদের ছাড়া তারা একদিন না একটা মুহূর্ত চালাতে পারবে না। এই সত্যটা তাদের মেনে নিতে হবে এবং সমন্বয় করে পরামর্শর ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
সাঈদ আর মুগ্ধ সাথে ওয়াসিম নামটা উচ্চারণ করেন। তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো আপনারা সঠিক পথে আছেন। মাইন্সাস মাইন্সাস খেলবেন না।
একক হিসাবে আমাদের বিএনপি’র শহীদ বেশি। এরা আবু সাঈদ আর মুগ্ধকে নিয়ে ব্যান্ডিং করে টিকে আছেঅচিরেই আবু সাঈদ মুগ্ধদের সাথে ওয়াসিমের নাম যুক্ত করে ব্যান্ডিং করতে হবে। আন্দোলনের মারমুখী পয়েন্ট গুলোতে আমরাই বুক পেতে দাঁড়িয়ে প্রটেকশন দিতাম।
বিপদ আসলে আবার আমরাই উদ্ধার করব নিশ্চিত থাকেন।আমরা এ সরকারকে ব্যর্থ হতে দিব না। শুধু এটার মানে এই নয় যে আপনাদের সকল অন্যায়ও আমরা মুখ বুজে সহ্য করব। প্রত্যেকের আমলনামার হিসাব নেয়া হবে। আর সুশীল, রাজনৈতিক প্রতিবন্ধী, আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্যাল পার্টি আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে পারি দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন।