এ কে এম আজহারুল ইসলাম সবুজ (গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা) : গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক এবং উপজেলা ছাত্রদল নেতা পারভেজ সরকার গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক।
তিনি নিজ এলাকা সাদুল্লাপুর উপজেলায় একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তোপের মুখে পড়েন। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের এই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এরপর ফেসবুক লাইভে এসে ওই ছাত্রদল নেতার বহিষ্কার দাবি করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক। উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে মইনুল হাসান সাদিক বকশিগঞ্জ এলাকায় একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখান থেকে সাদুল্লাপুর ফেরার পথে ওই এলাকায় স্থানীয়রা তার গাড়ির গতিরোধ করেন।
এসময় তারা মইনুল হাসান সাদিককে অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদল নেতা পারভেজ সরকার এলাকার মানুষকে তুচ্ছ কারণে মারধর করেন। এছাড়া এলাকায় নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব অপকর্ম ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ লোকজন। এ নিয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা বিএনপি নেতাদের একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলিনি। এ কারণে তারা আমার গাড়ির গতিরোধ করে পারভেজকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারের অপকর্মে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
এ কারণে আমি কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রদল নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এই মুহূর্তে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার কিংবা অব্যাহতিসহ পুনরায় উপজেলা ছাত্রদলের পুনর্গঠন করা দরকার।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসান ছামছুল বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে এর আগে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা পারভেজ সরকার বলেন, স্থানীয় একটি মাজার ও ওয়াকফ স্টেটের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ নিয়ে শহিদুল ইসলাম সরকার এবং মইনুল প্রধানের মধ্যে বিবাদ চলছে। শহিদুল ইসলাম আমার চাচা হয়। এ কারণে মইনুল ও তার লোকজন আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই পারভেজ সরকারের বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।