মোঃ রফিকুল ইসলাম (খুলনা জেলা সংবাদদাতা): “বিএনপি ধর্মবান্ধব রাজনৈতিক দল কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না” খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. এস এম শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিগত ১৬ বছর পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার শ্রমিকদের কল্যানে কিছুই করেনি। লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। একসময়ের শিল্প নগরী খুলনা আজ মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বন্ধ মিলের যন্ত্রাংশও খুলে নিয়ে গেছে লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকার। বিনাভোটে, রাতের ভোটে আবার আমি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিলো। শেখ হাসিনা বাকশালি পন্থায় মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করেছিলেন।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে খুনি হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ২৪ এর অভ্যূত্থানের আজ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশে আমরা বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। বিগত ১৬ বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের চুড়ান্ত ফসল আমরা জুলাই অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ঘরে তুলতে পেরেছি। আমাদের আন্দোলন ছিলো ভোটাধিকারের জন্য, আমাদের আন্দোলন ছিলো হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৫টায় নগরীর জিয়াহল চত্ত্বরে সোনাডাঙ্গা থানা শ্রমিকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন যারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে-তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর যারা পাড়া মহল্লায় গিয়ে আয়োজন করে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
যারা বেহেশতের টিকেট বিক্রি করছে, শপথ করাচ্ছে, তাদের কতটা জনসমর্থন আছে তা দেশের মানুষ জানেন। বিএনপি ধর্মবান্ধব রাজনৈতিক দল কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। বিএনপি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জনসাধারনকে আদর্শ জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করে, বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না। বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন খুলনা মহানগর শ্রমিক আহবায়ক মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জাকির ইকবাল বাপ্পি।
সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, যুগ্ম আহবায়ক আবু বক্কার সিদ্দিক, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সরদার আরব আলী, জিএম মাহাবুর রহমান প্রমূখ।