সোমবার , ৭ জুলাই ২০২৫ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

হাতিয়া টাউন জামে মসজিদ এবং হাতিয়া টাউন। সংক্ষিপ্ত কিছু ইতিহাস

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ৭, ২০২৫ ৪:৪৬ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

মোহাম্মদ হাসান, (লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা): হাতিয়া টাউন জামে মসজিদ  ইতিহাস বলছে, খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীতে মুসলিম পর্যটক তথা আরব ব্যাবসায়ীরা হাতিয়া দ্বীপে সর্ব প্রথম অনুপম কারুকাজ, আর সুনিপুণ নকশায় ইসলামী ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। নির্মানের প্রায় (৮০০) আট শত বছর পর ১৭০২ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে ঢাকার ইন্জিনিয়ার আবদুল মজিদ পূরানো সেই মসজিদের আদলে সুনিপুণ নকশা, আর হ্রদয় জুড়ানো নন্দিত সৌন্দর্য মন্ডিত মুসলিম স্হাপত্যের অনন্য নিদর্শণ হিসাবে আরেকটি মসজিদ বিনির্মাণ করেন। সেটাই হচ্ছে হাতিয়া টাউন জামে মসজিদ যাকে স্হানীয় মুসলমানেরা “হাতিয়া বড় মসজিদ হিসাবে আখ্যায়িত করেন। সুদীর্ঘ ৫২ বছর ধরে মুয়াজ্জিন ক্বারী মোঃ ওবায়েদুর রহমান তাঁর সুললিত কন্ঠে “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার “আজানের সুমধুর ধ্বনিতে কম্পমান করে তুলতেন গোটা হাতিয়া শহর। খতিব ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ মাওঃ রুহুল আমীন মুহাদ্দিস সাহেব।

পাঞ্জেগানা ঈমামের দায়িত্বে ছিলেন সম্মানীত ঈমাম হজরত মাওঃ মোঃ কারীমুল মাওলা সাহেব। উল্লেখ্য, নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পূর্বে জননেতা মরহুম আমিরুল ইসলাম কালাম সাহেব মসজিদ কমিটি এবং জনসাধারণের সমন্বয়ে বাঁশের বেড়া, ইট, পাথর, বালির বস্তা ফেলে মসজিদটি রক্ষার আপ্রান চেষ্টা করা হয়েছিল। অবশেষে ১৯৮৩ সালের ০৮ই নভেম্বর সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে লাখো হাতিয়াবাসীকে চোখের জলে ভাসিয়ে মেঘনার অতলে তলিয়ে যায় নিপুন কারুকাজে খচিত প্রান প্রিয় মসজিদটি।

সে সময় একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিলো নদী যখন মসজিদের একেবারে দ্বারপ্রান্তে সে সময় ছোট বড় অনেক অনেক মাছ এসে সেখানে অবস্থান নিয়েছিলো যা দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমাতো। মসজিদ কমিটি মাছগুলো যেন কেউ না ধরেন এ ব্যপারে নিষেধ করেছিলেন। রামগতি, লক্ষিপুর, ভোলা আর পার্শ্ববর্তী সন্দ্বীপ বাসীর কাছে পরম মমতায় আরাধনার কেন্দ্র বিন্দু ছিলো এই মসজিদ।

আজো স্নৃতিতে অমলিন হয়ে আছে লাখো মানুষের হৃদয়ে “হাতিয়া টাউন জামে মসজিদ। #হাতিয়া টাউন ✪ হাতিয়া টাউন হাতিয়া দ্বীপে “আবিসের হাট” “হাতিয়া শহর” ইত্যাদি নামেও পরিচিত ছিল। হাতিয়া টাউন কবে গঠিত হয়েছিল তার সঠিক কোন তথ্য জানা না থাকলেও ধারনা করা হয় এটির শুরুটা বিংশ শতাব্দীতে হয়েছিল। পাশ্ববর্তী সন্দীপ, সুধারাম, রামগতির লোকজন এখানে প্রতিনিয়ত নানা প্রয়োজনে আসতো।

শুরুতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসকে কেন্দ্র করে এর পরিধি ও বিস্তৃতি বাড়তেই থাকে।

সাব রেজিস্ট্রি অফিস, মসজিদ, মন্দির, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক, সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, সাহিত্য সংস্কৃতি, আইন শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক সুবিধা, কি ছিলনা এখানে তৎকালীন হাতিয়া দ্বীপের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল এ হাতিয়া টাউন।

হাতিয়া টাউনকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল ✮ ১৯১২ সালে হাতিয়া হাই স্কুল। ✮ ১৯১২ কোট কাচারী ভবন। ✮ ১৯২৪ সালে আমার কোলে গড়ে উঠা পাঞ্জেগানা মসজিদ এক সময়ে বৃহৎ পরিষরে হাতিয়া জামে মসজিদে রূপ নেয়।

পাশেই ছিল দ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহাসিক মাঠ। ✮ ১৯৪৬ সালে হাতিয়া দ্বীপ এতিমখানা। হাতিয়া কালিবাড়ী। ✮১৯২৫-৩০ সালে বীরেন্দ্র ভৌমিকের দি পপুলার প্রিন্টিং প্রেস।। ✮ হাতিয়া তাঁত শিল্প। ✮ ক্রীড়া জগতে দ্বীপায়ন ও হাতিয়া সংঘ।

✮ সংস্কৃতি জগতে হাতিয়া টাউন হল। ✮ গীতা ভারতী মিশন। ✮ সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক। ✮ হাতিয়া হ্যালিপ্যাড, যেখানে নিয়মিত হেলিকপ্টার উঠা নামা করত। ✮ স্বাধীনতা পূর্ব ও উত্তর দ্বীপের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বাসস্থান। ✮ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস উত্তর সেবাধর্মী মানব ত্রাণ সংঘ। ১৯৮৩ – ১৯৮৪ সালে মেঘনা নদীর তাণ্ডবে বিলীন হতে থাকে হাতিয়া দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী শহর।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত