সোমবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

১৮ মাসের কাজ শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

এ কে এম আজহারুল ইসলাম সবুজ  (গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা):   কাজের মেয়াদ ১৮ মাস। সে কাজ শেষ হয়নি প্রায় পাঁচ বছরেও। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী বন্দর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের চার তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণে ঘটেছে এমন ঘটনা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করে ফেলে রেখেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি দফতরে বারবার ধরনা দিলেও সমাধান হচ্ছে না। এতে শ্রেণিকক্ষ সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ১৯৬৭ সালে সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী ইউনিয়নের যমুনা নদীর পাড়ে ছোট টিনশেড ঘরে প্রতিষ্ঠিত যাত্রা শুরু হয় বিদ্যালয়টির। পরে ১৯৮৫ সালে এমপিওভুক্ত হলে ১৯৯৪ সালে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়।

পুরোনো ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় নতুন চারতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২০২০-২১ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দের এ কাজ পায় পাবনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাওন অ্যান্ড শায়লা ট্রেডার্স। পরে ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যেই ভবনটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বারবার সময় বাড়ানোর আবেদন করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। বর্তমানে কাজ বন্ধ। এতে শ্রেণিকক্ষ সংকটে ভোগান্তিতে আছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোনো একতলা ভবনে চলছে বিদ্যালয়টির শিক্ষাকার্যক্রম। ভবনটিতে চারটি কক্ষ রয়েছে। একটি কক্ষে প্রধান শিক্ষক এবং একটিতে অন্য শিক্ষকদের বসার জন্য কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল রয়েছে। অপর তিনটি কক্ষে ক্লাস চলে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য আছে একটি মাত্র টয়লেট। চারতলা নতুন ভবনের অবকাঠামো নির্মাণ হলেও বাকি কাজ শেষ হয়নি। ভবনের কক্ষে চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী রাজিয়া ফেরদৌসি রেমি, অপূর্ণা আক্তার ও নীলা আক্তার বুশরা বলেন, নবম-দশম শ্রেণির মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্লাস করায় অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন হয়। রুম না থাকায় বাধ্য হয়ে স্কুল মাঠে ক্লাস করতে হয়। নতুন ভবনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক লায়লা আরজুমান বানু, হায়দার আলী ও পলি রানি দেব বলেন, একটিমাত্র টয়লেট শিক্ষক ও ছাত্রীদের ব্যবহার করতে হয়। দীর্ঘদিন থেকে এমন ভোগান্তি পোহাচ্ছি।

দ্রুত এর সমাধান চাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সরকার বলেন, বারবার কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার কথা বলা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তিন শতাধিক ছাত্রী ও ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী ভোগান্তিতে রয়েছি। এমন অবস্থার জন্য অভিভাবকরা এ স্কুলে মেয়েদের ভর্তি করাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাওন অ্যান্ড শায়লা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি মুজিবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেলাল আহমেদ বলেন, ‘করোনার প্রভাব এবং জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির জন্য ঠিকাদার কাজ করতে পারেনি। বর্তমানে কাজ বন্ধ। কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদারকে মৌখিকভাবে তাগাদা দিচ্ছি। তাদের এ মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। কাজ শুরু না করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

উদ্যোক্তামুখী সমাজে যেতে তরুণদের বিকল্প নেই: প্রধান উপদেষ্টা

লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হোন এডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রতন

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ

বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও এমডিসহ আট জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

২০০ আসন পেলেও বিএনপি একা সরকার গঠন করবে না: খসরু

মাকে নিয়ে পার্কে ঘুরলেন তারেক রহমান

গণজোয়ার বিএনপির ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি

কাজীরহাট কলেজের দুই ছাত্রী বিয়ে করা বিতাড়িত সেই লম্পট শিক্ষক কে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে অনুমতি, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বয়কট