সাইচা কাজী বাড়ীতে সরকারী জমিতে বসবাস কারী জহিরুল হক (কাজীর দিঘীর পাড় সমাজ কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক) ও যুবদলের সভাপতি কাজি মহসিন আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে মসজিদের ১৯ শতাংশ জমি দীর্ঘ ৫৩ (১৯৭০ সাল থেকে) জোরপূর্বক ভাবে ভোগ দখল করে আছে।
একই বাড়ির কাজী গোলাম রাব্বানী ২০২৪ সালের মার্চ মাসে সাইচা কাজী বাড়ি বায়তুল আমান জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে মুসুল্লি ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আদালতে মামলা করে ১২ শতাংশ জমি উদ্ধার করেন। কিন্তু এখনো জহিরুল হক ও তার ছেলে যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী মহসিন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মসজিদের নামে আর এস রেকর্ড র্ভুক্ত ৭ শতাংশ জমি অবৈধ ও জোরপূর্বক ভাবে ভোগ দখল করে আছে।
১০ বছর মসজিদের সভাপতি ও ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালনকালে মসজিদের প্রায় ২ লক্ষ টাকার হিসাব না দিয়ে সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী কমিটি হিসাব চাইলে খাতা হারিয়ে গেছে আবার বলে উইপোকা খেয়েছে বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখায়।এবং কমিটির লোকজনকে হিসাব না চাইতে যুবদল সভাপতি কাজি মহসিন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিয়মিত হুমকি প্রদান করেন।
আরও উল্লেখ্য যে,কাজী মাহাবুব রাব্বানী ও কাজী গোলাম রাব্বানী বিগত ০৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে ২৯৩১ নং সাফ কবলা দলিল মূলে আর এস খতিয়ান ৪৯৩ এর জমির মালিকানা ভোগ কারী মৃত তফুরা খাতুনের ওয়ারিশদের নিকট থেকে ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করার পর ০৯/০৭/২০২৪ ইং তারিখে ওয়ারিশ গন দখল বুঝিয়ে দেন।
কিন্তু মৃত তফুরা খাতুনের জমি অবৈধ ভাবে জোর করে রাখা জহুরুল হক ও তার ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি (নামধারী সন্ত্রাসী)কাজী মহসিন পূর্বের মসজিদের জমি আত্নসাত করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল করে আছে।
ক্রয় কৃত জমি তাদের নিকট কম দামে বিক্রি করতে স্হানীয় মহসিনের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হত্যার হুমকি ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়ে মাহবুব ও রাব্বানী দুই ভাইকে বিবাদী করে রায়পুর সহকারী জজ আদালত, লক্ষ্মীপুর এ জাল বায়না চুক্তিপত্র তৈরি করে ২৯/৭/২০২৪ ইং তারিখে দেওয়ানী ১৩৫/২৪ ইং মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য উক্ত চুক্তিপত্রে তারিখ উল্লেখ করেন ২০/১১/২০০৫ ইং, এতে যাদেরকে স্বাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেন তারা ঐ সময়ে বাংলাদেশে ছিলেন না এবং চুক্তিপত্রে আরও বেশ কিছু মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। আরও উল্লেখ করেন ২০১৭ সালে তপুরা খাতুন তাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন অথচ তপুরা খাতুন ২০১৪ সালে মারা যান।
গত ৯ জুন ২০২৫ ইং তারিখে মাহবুব ও রাব্বানী দুই ভাই স্থানীয় সার্ভেয়ার নিয়ে তাদের ক্রয়কৃত জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে অবৈধ দখলদার জহিরুল হক, যুবদলের সভাপতি কাজী মহসিন ও জহিরুল হকের কন্যারা,মেয়ের জামাই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাধা প্রদান ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
এখানে উল্লেখ্য যে,জহিরুল হক সরকারি টিন চুরি ও গম চুরির অপরাধে বিএনপি হতে ২০০৩ সালে বহিষ্কার হন।পরবর্তীতে কাজীর দিঘির পাড় পাঠাগার ও বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করে বিতর্কিত প্রমাণ হওয়ার কারণে জহিরুল হককে বিএনপি হতে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আমাদের স্হানীয় প্রতিনিধি কাজি জহিরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আদালতে মামলা চলমান আছে এ বিষয়ে আর কথা বলতে তিনি রাজি নন।। কাজি মহসিন সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং কোনো রিপোর্ট না করতে চাপ প্রয়োগ করেন।