মো:আরাফাত মিয়া (মেলান্দহ উপজেলা সংবাদদাতা): জামা কাপড়ের বিষয়ে পরামর্শ:
সুতির ও হালকা রঙের জামা পরুন: সুতির কাপড় ঘাম শোষণ করে ও ত্বককে শ্বাস নিতে দেয়। হালকা রঙ সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে, গরম কম লাগে।
ঢিলা জামা পরুন: টাইট জামা গরমে অস্বস্তিকর, তাই ঢিলেঢালা পোশাক পরলে বাতাস চলাচল করে এবং শরীর ঠান্ডা থাকে।
হাত-পা ঢেকে রাখুন (রোদে বের হলে): সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বাঁচতে হালকা পাতলা কাপড় দিয়ে হাত ও পা ঢেকে রাখুন।
খাবার সম্পর্কে পরামর্শ:
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: প্রতিদিন ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন। ঘাম দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়, তাই ঘনঘন পানি পান জরুরি।
ডাবের পানি ও লেবুর শরবত খান: এগুলো ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে ও শরীর ঠান্ডা রাখে।
হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান: যেমন—ভাত, ডাল, শাকসবজি, ফলমূল। ভারী ও তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা আইসক্রিম অতিরিক্ত খাবেন না: তাৎক্ষণিক আরাম দিলেও গলা ব্যথা বা ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি থাকে।
তরমুজ, শসা, আনারস বেশি খান: এসব ফলে পানি বেশি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
চলাফেরা ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে পরামর্শ:
দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন: এ সময় সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি হয়।
ছাতা, টুপি বা সানগ্লাস ব্যবহার করুন: রোদের তাপ ও আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য।
রোদে হাঁটার সময় ধীরে চলুন, অতিরিক্ত ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন: গরমে অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রমে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।
বাসায় থাকলে জানালা খোলা রাখুন: যেন বাতাস চলাচল করে এবং ঘর ঠান্ডা থাকে।
ঘনঘন গোসল করুন বা ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
গরমে অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন: এগুলো ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে।
ঘুমের সময় হালকা চাদর ব্যবহার করুন: যেন শরীর ঘামলেও অস্বস্তি না হয় এবং ঘুম আরামদায়ক হয়।