এ কে এম আজহারুল ইসলাম সবুজ (গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা): চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিজেদের জেলায় স্থাপনের দাবিতে গাইবান্ধাতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন জেলার বাসিন্দারা। গাইবান্ধা শহরের পৌর শহীদ মিনার চত্বরে আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে সংহতি সমাবেশ করে সচেতন নাগরিক সমাজ।
এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। গাইবান্ধায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সবচেয়ে অবহেলিত জেলা গাইবান্ধা। এখানে কোনো কলকারখানা নেই।
ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে। এখানকার সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর ও ঢাকায় যেতে হয়। গাইবান্ধায় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।
এখানে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীর হাসপাতালটি নির্মিত হলে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের মানুষ উপকৃত হবে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদ, সিভিল সার্জন রফিকুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রদের পক্ষে ফিহাদুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান (সাদিক) ও সাবেক সভাপতি শেখ সামাদ (আজাদ), আইনজীবী সেকেন্দার আজম, চিকিৎসক আসাদুজ্জামান, নাট্যকর্মী আলমগীর কবির, সাংবাদিক অমিতাভ দাশ ও রওশন হাবিব, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাকছুদুর রহমান, জামায়াত নেতা আবদুল ওয়ারেছ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম, ছাত্রশিবির নেতা ফেরদৌস রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, উত্তরের জেলা গাইবান্ধার উন্নয়নে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি।
তাই অবহেলিত এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি গাইবান্ধায় স্থাপন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গাইবান্ধা ও আশপাশের জেলার মানুষ উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবেন। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবেন।