মোঃ হাসান (লক্ষীপুর জেলা সংবাদদাতা): লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা দারুল উলুম হোসেনিয়া সিদ্দিকিয়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের গুরুত্ব অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার এই শিক্ষক রাকিব আহমদ কাউসার এর বিরুদ্ধে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকতা রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় রায়পুর( ১০) নং ইউনিয়ন দেবীপুর গ্রামে দারুল উলুম হোসেনিয়া সিদ্দিকিয়া নূরানী ও হাফিজিয়া বেসরকারি মাদ্রাসায় বিভাগের গতকাল কক্ষে ডেকে নিয়ে আসে বলাৎকার করেন শিক্ষক রাকিব আহমেদ।
ছাত্রটির কান্নাকাটি ও আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন । পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন ঘটনার পর থেকে ছাত্রটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে আমরা এখনো আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছি না তবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন নিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি ,ভুক্তভোগী বা তার পরিবার এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেইনি, তবে বিষয়টির গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে খুঁজে বের করতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি ।
শিশু নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ এর কোন ছাড় নেই। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিব আহমেদ কাউসারের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল ,তবে তা প্রমাণিত না হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
আইনজীবী জাকির হোসেন জানান শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী এমন অপরাধে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে যাবজীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে , ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে গোপনে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। এই কথা নাই এলাকায় চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিকভাবে চাপ ও ভয়ে কাজ করলেও স্থানীয় সচেতনরা দ্রুত বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।