এবারের ইদুল আজহায় দেশের এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার এই প্রথম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সরকারের এ বিশেষ উদ্যোগের ফলে গতবছর যেখানে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে ২ লাখের কিছু বেশি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছিল, সেখানে এ বছর ৯৩৩০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩ লাখের বেশি চামড়া সংরক্ষণ করেছে।
এছাড়া সারা দেশব্যাপী আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকগণ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে বলেও জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২২৯ মে. টন। জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের পর্যাপ্ত মজুদ ছিলো, কোথাও কোন ঘাটতি ছিলো না।
তবে এরপরও কুরবানির পশুর চামড়া ঘিরে বিচ্ছিন্ন কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার কথা স্বীকার করে মন্ত্রণালয় বলেছে, কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী কর্তৃক চামড়ার লবণ না দিয়ে আড়তদাতদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দরকষাকষি ও আড়তদারগণ কর্তৃক চামড়া ক্রয় অনিহা প্রকাশ করায় মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে কুরবানির পশুর মাথা, লেজ ও অন্যান্য অংশ ডাম্পিং ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থানে না ফেলার জন্য আগেই সকল ট্যানারি মালিকদের নির্দেশনা দেওয়ার পরও কেউ কেউ নদীর পাড়ে এসব ফেলেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা কেউ করতে না পারে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।