শনিবার , ১৪ জুন ২০২৫ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনে সৌন্দর্য হারাচ্ছে গারো পাহাড়

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুন ১৪, ২০২৫ ৭:২০ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

এম,শাহজাহান, (ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতা): শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড় ও নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়। জানা গেছে, যে সৌন্দর্যকে ঘিরে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার গারো পাহাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পর্যটন কেন্দ্র।

মৌজার নামানুসারে পর্যটন কেন্দ্রের নাম রাখা হয় গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিবছর সারাদেশ থেকে লাখ লাখ ভ্রমন পিপাসুদের আগমন ঘটে এ পর্যটন কেন্দ্রে। এখান থেকে সরকারের ঘরে আসে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব। এপর্যটন কেন্দ্রের চার পাশে পাহাড়, খাল, বিল,নদী নালা। যা পর্যটন কেন্দ্রকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আকর্ষণীয় করে রেখেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রভাশালীরা গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ক্ষতি সাধন করে পর্যটন কেন্দ্রের আসপাশের নদী নালা খাল বিল ঝর্না ও পাহাড় কেটে অবাধে পাথর ও বালু উত্তোলন চালিয়ে আসছে। জানা গেছে,স্থানীয় প্রভাবশালী বালুদস্যুরা উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর হালচাটি, মালিটিলা, গান্ধীগাঁও বাঁকাকুড়া,দরবেশতলা, মঙ্গল ঝুড়া, পশ্চিম বাঁকাকাকুড়া, ৫ নাম্বার নামকস্থান, ছোটগজনী, গজনীসহ আশপাশের এলাকার নদী, পাহাড়, ঝুড়া, খাল বিল ও ঝর্না থেকে অবাধে পাথর বালু উত্তোলন চালিয়ে আসছে।

দিনে রাতে লাখ লাখ টাকা মূল্যের বালু পাথর উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রাক, মাহিন্দ্র ও ট্রলিগাড়ি যোগে এসব বালু পাথর দিনে রাতে পরিবহন করা হচ্ছে। বালুদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় বালু কান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদতো দুরের কথা মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না। আবার কেউ মুখ খুললে তাদের উপর নেমে আসে বালুদস্যুদের হুমকি ধামকি। এরপরেও মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসনও বনবিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আটক করা হচ্ছে বালু ভর্তি মাহিন্দ্র।

কিন্তু এরপরেও বন্ধ হচ্ছে না গারো পাহাড় থেকে বালু পাথর উত্তোলন। বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে এক সপ্তাহে তারা অভিযান চালিয়ে বালু ভর্তি ৫ টি মাহিন্দ্র গাড়ি আটক করে। এসময় বালু ব্যবসায়ীরা তাদের গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কেঁচিগেইটে হামলা চালায় এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরআগে ভ্রাম্যমান আদালতে বালু শ্রমিকদের সাজা দেয়ায় ইউএনও’র বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন বালু ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানেও থেমে নেই অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন। রাতদিন হরদম চলছে বালু পাথর পাঁচার। পাহাড়, নদী নালা ও ঝর্ণা থেকে অবাধে পাথর ও বালু উত্তোলনের কারনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক ভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে। গজনী ফরেষ্ট বিট কর্মকর্তা সালেহীন নেওয়াজ বলেন লোকবলের অভাবে নিরাপত্তা জনিত কারণে রাতের আঁধারে ব্যাবসায়ীদের ঠেকাতে তারা হিমসিম খাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনে সেনাবাহীনির সহায়তা নেয়া হবে।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ভারতে পালানোর সময় আটক আ.লীগ নেতা আসাদুর রহমান কিরণ

সাজাপ্রাপ্ত আসামী মমতাজ বেগমকে আটক করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ

ঈদে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী

রূপগঞ্জে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন “মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে শীর্ষক আলোচনা সভা

কুরবানির ঈদে কমবে লোডশেডিং থাকবে না যানজট: সড়ক ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

ড. ইউনূসের মেডিকেল টিম নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ

নকলা উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধায় অসময়ে নদী ভাঙনে দিশাহারা চরবাসী

ভালোবাসার মোহ, নাকি পথভ্রষ্টতা? ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন