মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (জামালপুর জেলা সংবাদদাতা): জামালপুর থেকে ঢাকা মাধ্যম অন্যতম হলো রেল ভ্রমণ। আরামদায়ক হলেও ভোগান্তির শেষ নেই কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রেল যোগাযোগ টালমাটাল অবস্থা। জামালপুর থেকে ঢাকা গামী যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা এক্সপ্রেস জামালপুর এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। এছাড়াও রয়েছে চট্টগ্রাম অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস।
পরিচালকের অব্যবস্থাপনায় দিনে দিনে রেল ভবন থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরেজমিন লক্ষ্য করে দেখা যায় নিরাপত্তা নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ খালি সিটে যাত্রী উঠানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। টিকিট ছাড়া যাত্রী দিয়ে প্রথম শ্রেণীর গানে গানে কম্পার্টমেন্ট গুলো ভরে দিয়ে যায়।তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এক একজন এই ডিপার্টমেন্টে পোস্টিং নেওয়ার জন্য খরচ করে লক্ষ লক্ষ টাকা।
প্রথম শ্রেণীর সেটা টপ নিয়ন্ত্রিত বগি গুলোতে হকার বিক্ষোভ ও হিজড়াদের অপ্রতিরোধ্য দূরত্ব। এ যেন এক তাদের আশ্রম। এই অনিয়ম যারা দেখবেন তারাই ব্যস্ত আছেন চলমান গাড়ি থেকে পকেট ভরতে। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই রোডে প্রতিনিয়তই হিজড়াদের অশালীন অঙ্গি ভঙ্গি,ভিক্ষুকদের ঝাঁপড়ে ধরা, হকারদের অশালীন মন্তব্য ও হাক ডাক যাত্রীদের কে বিব্রত কর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
অনেক ভেবে যাত্রী আছেন তাদের বক্তব্য হলো ভোক্তার অধিকার রক্ষায় এখনোবর্তমান সময়ে যদি পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ না করা যায় ভবিষ্যতের রেল যাত্রা একটি ঝুঁকিতে পরিণত হবে। অনেকেই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ভোক্তা অধিকার আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেন।