শুক্রবার , ৪ জুলাই ২০২৫ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় সীমা আরোপে একমত

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ৪, ২০২৫ ৭:৩৮ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় দুটি বড় বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতায় সীমা আরোপ এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বসানো। বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফায় ৯ম দিনের আলোচনার শেষে তিনি একথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক, বিএনপি তা চায়। কিন্তু অনেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, উল্লিখিত দুটি বিষয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বড় অর্জন।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া আছে। কিন্তু এতদিন এই ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছে। তিনি বলেন, সংবিধানের ৪৯নং অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে তা হলো, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে-কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড, নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করা হইবে।’ এছাড়াও এই অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন হতে দেওয়া প্রস্তাবের আলোকে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, ভবিষ্যতে তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এতে ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ হবে। অন্যদিকে বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ সম্পর্কিত বিষয়ে যে অগ্রগতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আলী রীয়াজ বলেন, রাজধানীতে সুপ্রিমকোর্টের স্থায়ী আসন রয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে যে সার্কিট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। নতুন নিয়মে সার্কিট বেঞ্চের পরিবর্তে রাজধানীতে সুপ্রিমকোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। প্রধান বিচারপতি প্রতিটি বিভাগে এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ দেবেন। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের ১০০নং অনুচ্ছেদের পরিবর্তন হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক বিএনপি তা চায়। আর যেন এটি দীর্ঘায়িত না হয়। বিএনপি সরকারি বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করলেও একটি মহল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ক্ষমতার যথেষ্ট অপব্যবহার হয়েছে। উপর্যুপরি ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞে উৎসাহ দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি এককভাবে এবং সংসদীয় সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে ফাঁসির আসামিকেও ক্ষমা করা হয়েছে। এজন্য এ বিষয়ে নীতিমালা জরুরি। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া জরুরি।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি নীতিগতভাবে একমত, ক্ষমা প্রদর্শন আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সংবিধানে যা অন্তর্ভুক্ত হবে। আর হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপনের বিষয়েও আমরা একমত। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করেই এটি করতে হবে। তা করা গেলে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছবে।’ জনগণের কাছে আমাদের দায় অনেকটাই বেশি উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এখানে মতামত দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘অধস্তন আদালতের অনেক বিচারক এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে কাজ করছেন। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুনিদের গ্রেফতার করলেও ২ দিন পরই তাদের জামিন হয়ে যায়। বিগত দিনেও তারা রাতে কোর্ট বসিয়ে দেশের রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। তাই এসব বিচারককে শুধু চাকরিচ্যুত বা বদলি করলেই হবে না। তাদের উপযুক্ত বিচারও করতে হবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা একমত হয়েছি, সংবিধান অনুযায়ী, একই ধরনের কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় সুপ্রিমকোর্ট থাকবে। তবে হাইকোর্টকে বিকেন্দ্রীকরণ করে বিভাগীয় শহরেও স্থায়ী বেঞ্চ সম্প্রসারণ করা হবে। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় অর্জন। এ সম্পর্কে আলোচনার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ। এরা বিচারের আশায় ঢাকা আসেন। তাদের আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া, অপেক্ষা করার মতো সুযোগ খুব কম মানুষের আছে। এ অবস্থায়, সময় ও জনদাবি অনুযায়ী এটা প্রতিষ্ঠিত, বিচার প্রক্রিয়াকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া উচিত। এখানে সবাই একমত হয়েছেন। তবে এখানে ২-৩টি সমস্যার কথাও উঠে এসেছে। তা হচ্ছে, বিচার ব্যবস্থাকে ঢাকার বাইরে নিলে অধিকসংখ্যক বিচারপতি পাওয়া যাবে কিনা। বিচারপতিরা ঢাকার বাইরে, এলাকায় যাবেন কিনা। পটেনশিয়াল আইনজীবীরা এলাকায় গিয়ে প্র্যাকটিস করবেন কিনা? এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বিচারপতি ও পটেনশিয়াল আইনজীবী হয়তো কম হবে। তবে এই সংখ্যা পাঁচগুণ করা হলে বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। মেধাবী তো আছেই। এখন আইনজীবীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। সরকার কোর্ট বাড়িয়ে পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগ করলে এ সমস্যা থাকবে না। তবে এজন্য আমরা বাজেট বাড়াতে বলেছি। সরকারের তো উচিত মেধাবীদের নিয়োগ করা। তিনি বলেন, একইভাবে আইনজীবীরা এলাকাতেই তাদের মেধা কাজে লাগানোর সুযোগ পেলে তারা রাজি হবেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে। সেই সংশোধনীতে আজকের যে সিদ্ধান্ত সেটা বাস্তবায়ন করা হবে। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত বা অপরাধীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিষয়ে একটা সীমাবদ্ধতা তৈরিতে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। ইনসাফ ও সুষ্ঠু ন্যায়বিচারের স্বার্থে এটি করা হচ্ছে, ক্ষমার ফাঁকে যেন কোনো দুর্বৃত্ত বা দাগি, কোনো খুনি বা আসামি ছাড়া পেয়ে না যায়। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারবেন তবে সেটা ভুক্তভোগী পরিবারের সম্মতির ভিত্তিতে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের বৈঠকে এ পর্যন্ত কয়েকটি বিষয় নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান এবং বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ৩০টি দল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে-বিএনপি, জামায়াত ছাড়াও যেসব দল অংশ নিয়েছে তা হলো-জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি অন্যতম। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৭ জুলাই পুনরায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

আম্বানিকে পেছনে ফেলে এশিয়ার শীর্ষ ধনী আদানি

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ মেম্বারদের

ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জাতীয় কোটায় যারা আসে তারাও কিন্তু মেধাবী : পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান

ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলচ্চিত্র সংরক্ষণের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার

ধামইরহাটে জব ফেয়ারের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মী নির্বাচন

ধামইরহাটে ইএসডিওর উদ্যোগে বিশ্ব পানি দিবস পালিত

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্তদের জন্য ৭ লাখ কম্বল

কোম্পানি করদাতাদের আয়কর দাখিলের সময় আবারো বাড়ল

আগামী মাসে প্রতিষ্ঠিত হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর: উপদেষ্টা নাহিদ