এম,শাহজাহান, (ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতাঃ) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে একজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (১১জুলাই) রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, ছড়া ও গারো পাহারের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এসময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বগাডুবি এলাকায় অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে মো. আরিফ (২০) নামের এক ব্যক্তিকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩টি অটোভ্যান ও ১টি বালুবোঝাই মাহিন্দ্র আটক করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সোমেশ্বরী নদীর আয়নাপুর এলাকায় একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার, কয়েকশ মিটার প্লাস্টিকের পাইপ ও বালু উত্তোলনের জন্যে বাঁশের নির্মিত টাওয়ার ধ্বংস করা করেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শেরপুরের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৯(৪) অনুযায়ী ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ি ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সকল বালুমহাল বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। এরপরেও প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, ও গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে দিনে-রাতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব অভিযানে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ সদস্য, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আমাদের পরিচালিত অভিযানে বালু উত্তোলন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।