মোঃ হাসান ( লক্ষীপুর জেলা সংবাদদাতা): মিরপুরের বিএডিসি ষ্টাপ কোয়ার্টারের সরকারি কর্মচারীরা বিএনপির ১২ নং ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দানকারী কাজল ও আবুল হায়াত মুক্তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ বানিয়ে মব সৃষ্টির ভয় দেখিয়ে বিএডিসিতে কর্মরত ড্রাইভার ওয়াহিদের কাছ থেকে ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পরিচয় দিয়ে মুক্তা ও কাজল ভয় – ভীতি প্রদর্শন করে নগদ।
৭০,০০০(সত্তর হাজার)টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া কাজল নিজেকে ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দাবি করে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষীকির সময় নিরীহ কর্মচারীদের কাছ থেকে মিলাদের নাম করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রতিজনের নিকট হতে ১০০০/২০০০ টাকা করে প্রায় ৫০,০০০(পঞাশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ৮/১০ দিন পূর্বে কাজল নিজেকে ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিএডিসি কর্মচারী আলু-বীজে কর্মরত উজ্জ্বল (গোপালগঞ্জ বাড়ি) আওয়ামী লীগ বানিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মব সৃষ্টি করে ২,০০,০০০(দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে এবং জোরপূর্বক আটকিয়ে তার পকেট থেকে নগদ ১৫,০০০ (পনের হাজার)টাকা /মোবাইল /ঘড়ি ও হাতে থাকা স্বর্ণের আংটি নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করে আরও ৩ জন বিএডিসি কর্মচারী অভিযোগ করেন তাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ৮০০০০(আশি হাজার) টাকা নিয়ে যায় মুক্তা ও কাজল। অভিযোগ কারী সকলে বলেন প্রসাশনের কাছে অভিযোগ দিয়ে এলাকায় থাকতে সমস্যা হবে এজন্য যাইনি।
এ ব্যাপারে বিএডিসি সিবিএ নেতৃবৃন্দ অবগত করেও কোনো সহযোগিতা পাইনি। ২/৩ মাস পূর্বে টোলারবাগ তৌহিদ ফাউন্ডেশনের মালিক তৌহিদ সাহেবের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন মুক্তা ও কাজল। উল্লেখ্য যে,সৈয়দ আবুল হায়াত মুক্তা গত ১৫ বছর সেচ্ছাসেবক লীগের মিরপুর থানা সভাপতি কালাম ও দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজাহারের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতি নিয়েছেন। এবং আওয়ামীলীগের দলীয় প্রোগ্রামে সরব উপস্থিতি থাকতেন।
১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পরিচয় দানকারী কাজল আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজাহারের তদবিরে বিএডিসি তে প্রতিদিন বেসিকে চাকুরী নেয়।কাজলের ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে মাজাহারের সাথে সরব উপস্থিতির প্রমান আছে।
বর্তমানে মুক্তা ও কাজল দুজনেই ঢাকা -১৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাজুর লোক হিসেবে পরিচিত। উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আমাদের প্রতিনিধি কাজল ও মুক্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যস্ত আছে বলে ফোন কেটে দেয়।