নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার পুলিশ লাইন টাগারপাড় এলাকায় গতকাল গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে খানপুর হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। উক্ত ঘটনায় মৃত ওয়াজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে শামীম আহম্মেদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে দেখা যায়, এবং অভিযোগকারী শামীম আহম্মেদ জানায় আমার ভাগিনা মো: ফয়েজ (২২) এলাকায় মিশুক (রিক্সা) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এমতাবস্থায় গত ২৭ জুলাই রাত অনুমান এক ঘটিকার সময়ে ফয়েজের বন্ধু আরাফাত (২২) এর মা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরাফাত বন্ধু ফয়েজকে অনুরোধ জানায়।
বন্ধুর মাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসা বের হইলে রাস্তা থেকে মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দাম, রনি, রানা, রুবেল, সেলিম-সহ অঙ্গত ২০/২৫ জন মিলে ফয়েজ কে তুলে নিয়ে যায় মৃত নুরু পুলিশের গ্যারেজের সামনে। সেখানে নিয়ে সাদ্দাম’রা তাদের মাদক বিক্রি করে দিতে বলে এবং দৈনিক ১৫শ টাকা করে পারিশ্রমিক দিবে সে অস্বীকৃতি জানালে লোহার রড হকিস্টিক দিয়ে পিটাতে থাকে, এবং এই বলে হয় আমাদের মাদক বিক্রি করবি আর না হয় তোর মামাতো ভাই রাবিব মাদক বিক্রি করে এলাকায় রটিয়ে দিবি! রাবিবের মানসম্মান নষ্ট করতে হবে।
এতেও রাজি না হলে তাঁকে বেদম পিটাতে থাকে এবং ফয়েজের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে ভিডিও ধারণ করে এবং রাবিবের মাদক ব্যবসায়ী বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এদিকে ফয়েজের বন্ধু আরাফাত তার জন্য অপেক্ষা ফয়েজকে আনতে গিয়ে পথিমধ্যে দেখতে পায় ফয়েজকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা, এর কারন জানতে চাইলে তাকেও মাদক বিক্রির প্রস্তাব করে।
তারা আবারও অস্বীকৃতি জানালে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে এই ঘটনায় থানা-পুলিশ করলে জানে মারিয়া ফেলবে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে তাদের কে চিকিৎসার জন্য খানপুর হসপিটাল নেয় । এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ফতুল্লা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে শামীম আহম্মেদ জানিয়েছেন।