হাফেজ জাহিদ বিন ইয়ামিন- ইউটিউবে কেউ যদি বৈধ কন্টেন্ট আপলোড করে এবং তাতে বৈধ পন্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়, তাহলে তা থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল মনে করেন পাকিস্তানের সুপরিচিত আলেম ও ইসলামি আলোচক, জামিয়াতুর রশিদের অধ্যাপক মুফতি তারেক মাসুদ।
সম্প্রতি পাকিস্তান সফররত ইসলাম প্রচারক ডা. জাকির নায়েক এক অনুষ্ঠানে ইউটিউবে কন্টেন্ট বানিয়ে অর্থ উপার্জন করাকে হারাম বা নিষিদ্ধ বলে বক্তব্য দিয়েছেন। জাকির নায়েকের ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে নিজের ভ্যারিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে এ বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন মুফতি তারেক মাসুদ।
জাকির নায়েক বলেছিলেন, ইউটিউবে বৈধ ও ভালো কন্টেন্টগুলোতেও যে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়, তাতে নারীদেহের খোলামেলা দৃশ্য ও মিউজিক থাকে যেগুলো হারাম বিষয়। আপনি অ্যালকোহলের বিজ্ঞাপনগুলো ব্লক করেন, কিন্তু আপনি খোলামেলা পোশাকে নারীদের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে পারবেন না।
তার এই বক্তব্যের জবাবে মুফতি তারেক মাসুদ বলেন, ইউটিউবে যারা চ্যানেল মনিটাইজ করে, তারা মূলত নিজেদের চ্যানেলের বিজ্ঞাপন-স্পেস ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেয়। এখানে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে তা তারা নির্ধারণ করতে পারে না। তাই খোলামেলা নারীদেহ ও মিউজিকসহ বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হলে তাতে ইউটিউব চ্যানেল মালিকের দায় থাকে না। যারা এ সব বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও প্রচারের সাথে জড়িত তারা সেজন্য গুনাহগার হবে।
তবে ইউটিউব ভিডিওতে যদি হারাম পন্য যেমন মদ, সুদ বা জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়, তাহলে ওই বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জিত অর্থ সন্দেহপূর্ণ উল্লেখ করে মুফতি তারেক মাসুদ বলেন, এ রকম হারাম পন্যের বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জিত অংশের পরিমাণ যদি যথাযথভাবে হিসাব করা সম্ভব হয়, তাহলে ওইটুক সদকা করে দিতে হবে। যথাযথ পরিমাণ হিসাব করা সম্ভব না হলে অনুমান করে প্রবল ধারণা অনুযায়ী যতটুকু হারাম হতে পারে, ততটুকু সদকা করে দেবে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে এক মাসের সফরে এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন সুপরিচিত ইসলাম প্রচারক ও আলোচক ডা. জাকির নায়েক। এ সময় বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি মসজিদে তিনি জুমার নামাজেও ইমামতি করবেন, বিভিন্ন জনসংযোগে অংশ নেবেন এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।