সঙ্গীত অধিকাংশ মানুষের জীবনে নদীর বুকে মৃদু ছন্দ। সংঙ্গীত গবেষকদের মতে কলকাতার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০টি বাংলা গানের মধ্যে ৫০টিই বাংলাদেশের স্বর্ণ সন্তান পাবনার গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের লিখা। গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের জন্ম পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার গোপাল নগর গ্রামে।পিতা বিখ্যাত উদ্ভিদ বিদ গিরিজা প্রসন্ন মজুমদার।জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯২৫ সন।
শৈশব, কৈশোর, যৌবন কেটেছে পাবনা নিজ গৃহে। লেখাপড়া স্হানীয় স্কুল ও পাবনা এ্যডওয়াড কলেজ। তিনি ছিলেন মনে প্রানে বাংলাদেশী। ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় কলম সৈনিক। লিখেছেন মুক্তি যুদ্ধের গান।১৯১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরনোত্তর মুক্তিযুদ্ধ সন্মাননায় ভূষিত করেন।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর২০ আগস্ট ১৯৮৬ সনে তিনি পরপারে পাড়ি জমান।
বরেন্দ্রভূমির বীর সন্তান আমাদের গৌরী প্রসন্ন মজুমদার তোমার গর্বে গর্বিত বাংলাদেশ।
তার লেখা গান –
(১) কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই।
(২) প্রেম একবার এসেছিলো নিরবে আমার দুয়ার।
(৩) এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে।
(৪) আশা ছিলো ভালোবাসা ছিলো আজ আশা নেই।
(৫) এই পথ যদি না শেষ হয় যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ।
(৬) এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে নাতো মন।
(৭) আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটিদিকে গেছে বেঁকে
(৮) মুছে যাওয়া দিন গুলি আমায় কেন পিছু ডাকে।
(৯) ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে বল।
(১০) আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে সাত সাগর।
(১১) মেঘ কালো আধার কালো কালো কন্যার কেশ।
(১২) অলির কথা শুনে বকুল হাসে কৈ তেমন করে তুমি
(১৩) পথের ক্লান্তি ভূলে মাগোে বলও কবে শীতল হবো।
(১৪) তোমার সমাধী ফুলে ফুলে ভরা কে বলে আজ।
(১৫) কেন দূরে থাকো শুধু আড়ালে রাখো কেন।
(১৬) তুমি না হয়ই রহিতে পাশে আরো কিছুক্ষণ।
(১৭) নীড় ছোট ক্ষতি নেই আকাশ তো বড় ও।
(১৮) কি আশায় বাধি খেলাঘর বেদনার বালুচরে।
(১৯) আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় বেঁধে রাখব।
(২০) পৃথিবী বদলে গেছে যা দেখি নতুন লাগে তুমি।
(২১) বাঁশী শুনে আর কাজ নাই সেজে ডায়কাতিয়া।
(২২) গানে মোর এ কোন ইন্দ্রধনু জাগায় প্রানে।
(২৩) আমি যামিনী তুমি শশীহে আমি সাগর তুমি
(২৪) মঙ্গল দ্বীপ জেলে এ জীবন আলোয় আলোয় ভর।
(২৫)এইতো আমার প্রথম ফাগুন বেলা এইতো আমার।
(২৬)শোন একটি মুজিবের থেকে লক্ষ মুজিবের ধ্বনি।
(২৭)হিমালয় থেকে সমুদ্র হঠাৎ বাংলাদেশ বাংলাদেশ।
(২৮) বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার খ্রিস্টান।
(২৮) মাগো ভাবনা কেন আমরা তোমার শান্তি প্রিয়।
লেখকঃ অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজজাক (রাজু)