বৃহস্পতিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডে ক্ষমা চাইল পুলিশ

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ ১০:৫০ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে চলা ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচার গুলি করে হত্যার ঘটনায় শহিদ পরিবারগুলোর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের চার মাস পর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

পুলিশপ্রধানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে করেন গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষক ও অধিকারকর্মীরা। তবে তাদের দাবি, যাদের নির্দেশে ও যাদের গুলিতে নির্বিচার মানুষ হত্যা করা হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

গত ২১ নভেম্বর আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাহারুল আলম বৃহস্পতিবার প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করেন তিনি।

এ সময় আইজিপি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের স্বার্থ রক্ষায়, তাদের নির্দেশে পুলিশের কতিপয় সদস্য বাড়াবাড়ি করেছেন এবং আইন ভঙ্গ করেছেন; এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে অনেক নিরপরাধ পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই নিন্দনীয়। আমি পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতিটি শহিদ পরিবারের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শহিদ পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চাওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা ক্ষমা পাবেন না। গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সেখানে বিচারের মাধ্যমে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনায় অভিযুক্ততের নাম উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বাহারুল আলম বলেন, যেই নামগুলো এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরের নিজস্ব তদন্ত চলমান আছে। তাদের প্রত্যেকের অবস্থান পুলিশ এখনো বের করতে পারেনি।

আইজিপি বলেন, ‘পলাতকদের কারও যদি দেশের ভেতরে অবস্থান থাকে, আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পারলে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। গ্রেফতার করব। যদি দেশের বাইরে থাকেন, সেটিরও বিধিগত প্রক্রিয়া আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত শেষে দায় আছে কি না, তা বলা যাবে। তবে আপনাদের মতো আমারও ধারণা, তারা দায় এড়াতে পারবেন না। তাদের কেউ কেউ সশরীর থেকে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে আমাকে দেখাতে হবে। দেড় হাজার লোক মারা গেছেন। এই উপমহাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা নেই।’

 

সর্বশেষ - সংবাদ