বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ ২০২৫ | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

প্রতারক মোস্তফাকে মামলা থেকে বাঁচাতে পরকীয়া প্রেমিকা তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
মার্চ ২৭, ২০২৫ ১০:২২ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

মোস্তাফিজুর রহমান (বিশেষ সংবাদদাতা): প্রতারক মোস্তফা কে মামলা থেকে বাঁচাতে পরকীয়া প্রেমিকা তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারকের ভরণপোষণের খরচ যোগাতে একাধিক বিত্তবান খদ্দেরের বিছানা সঙ্গী হওয়ার ঘটনা চাউর হলেও টনক নড়েনি প্রতারক চক্রের।

এ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে হত্যা , মাদক , অপহরণ , সাইবার ট্রাইব্যুনালসহ হুমকির অভিযোগে একাধিক মামলার আসামি এ প্রতারক চক্র।ওই চক্রের মাস্টার মাইন্ড প্রতারক মোস্তফা পাবনার হাসচর থেকে প্রতারণা করে খুলনায় পালিয়ে যায়। পরে নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম পরিচয় দিয়ে হিন্দু নারী এনজিও কর্মীকে বিয়ে করে। আবার কিছুদিন সংসার করার পর ওই নারীর টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে কুষ্টিয়া পালিয়ে গিয়ে আরেক নারীকে প্রতারণা করে বিয়ে করে। ওখান থেকে পালিয়ে বগুড়া গিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্য আরেক নারীকে বিয়ে করে। মোস্তফার প্রথম স্ত্রী বগুড়ায় গেলে এলাকায় চাউর হলে পালিয়ে ঢাকায় আসে।

রাজধানীর বনশ্রীতে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী তবে কর্মরত ফেরদৌসী নামের এক নারীর সঙ্গে থেরাপিতে পিএইচডি পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক পরে বিয়ে করেন। তার টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর কর্মরত সাহানাজ নামের আরেক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে বিয়ে করে। সর্বশেষ মিরপুরে এক ডিভোর্সি নারীর সঙ্গে পরকীয়া করে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে তার সকল অপকর্ম প্রকাশ পায়।

তার অপরাধ জগতের আদ্যোপান্ত বেরিয়ে আসে। এ কাজে সহযোগিতা করতেন ফখরুদ্দিন নামে এক দালাল। আর নিয়মিত খদ্দের হিসেবে আসা-যাওয়া করতেন অনুজ দাস নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি ব্যাঙ্কের টাকা দুর্নীতি করে অর্থসাহায্য করছেন এ কর্মকর্তা। বিভিন্ন সময় এ ডিভোর্সি নারীকে বাসায় কখনও আবাসিক হোটেলে রাত কাটানো এবং ভারত ভ্রমনের ও খবর পাওয়া গেছে। আবার বিভিন্ন হোটেলে সাপ্লাই দিয়ে বিভিন্ন খদ্দেরের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতেন প্রতারক মোস্তফা। এ কারণে প্রতারককে বাঁচাতে তার প্রেমিকা ওই ডিভোর্সি নারী তার নিজ ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রাখতেন এখনও রাখছেন।

যে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে। জানা গেছে চট্টগ্রামের পদুয়ার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ফরিদুল আলম কে তার টাকা পয়সা এবং সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিজ ফ্ল্যাট থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে। প্রথমে শারীরিক নির্যাতন পরে তার বিকাশ থাকা টাকা উত্তোলন করে নেয় অপহরণকারী চক্র। তবে আরও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। স্থানীয়দের সহায়তায় বেঁচে যান।

ওই ঘটনায় ঢাকা সি এম এম আদালতে মামলা করলে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছেন। ঘটনার সত্যতা পেলেও প্রতারক চক্র মোস্তফাকে বাঁচাতে তার প্রেমিকা ডিভোর্সি নারী তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে মামলা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তার কাজ হাসিল করতে অন্যের বিছানার সঙ্গী হতে তার দেহ বিলিয়ে দিতে পারেন এ অসাধু নারী। ইতোপূর্বে বিভিন্ন মামলা তদন্তে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তার বাস্তব প্রমাণ মিলছে পরীমনির মামলা তদন্ত কান্ডে। পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সাকলাইন ওই ঘটনায় তিনি চাকরি হারিয়েছেন। একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদারকে অপহরণ মামলায় অপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই যা সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত