আশীষ বিশ্বাস (নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা): নীলফামারীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় এ উপলক্ষে জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। প্রধান জামাতের ইমামতি করেন নীলফামারী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা খন্দকার মো. আশরাফুল হক নূরী।

সেখানে নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুধি সমাজের প্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। নামাজ আদায় শেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও নীলফামারী পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইদুল ইসলাম।

একই সময়ে জেলা মডেল মসজিদ ও সদর উপজেলা মডেল মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলার মডেল মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল সোয়া ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় নীলফামারী পুলিশ লাইন্স মাঠে। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন পুলিশ সুপার এ.এফ.এম তারিক হোসেন খান। সোমবার (৩১মার্চ) সকাল ০৮ঃ৩০ মিনিটে পুলিশ লাইন্স, নীলফামারী মাঠে পুলিশ সদস্যদের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন নীলফামারী জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এ. এফ. এম তারিক হোসেন খান পুলিশ সুপার মহোদয় উপস্থিত সম্মানিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে বলেন ঈদ প্রকৃত পক্ষে ধনী-দরিদ্র, বৃদ্ধ-শিশু সকল মানুষের জন্য বয়ে আনে অনাবিল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি। তাই ঈদ আনন্দ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের শিক্ষা দেয়, যা সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসার বন্ধন অটুট রাখে। তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন ব্যক্তি,পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় একযোগে কাজ করার মাধ্যমে সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক, এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।

সকল শহীদদের স্মরণে ও বিশ্ব শান্তি কল্পে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে নামাজ শেষ হয়।

নামাজ শেষে পুলিশ সুপার মহোদয় উপস্থিত মুসল্লিদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর দুপুর ১২: ৩০ ঘটিকায় পুলিশ লাইন্স নীলফামারী পুলিশ মেস এ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জেলা পুলিশ নীলফামারী এর আয়োজনে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয় প্রীতিভোজে অংশগ্রহণকৃত জেলা পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্সদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং নিজ হাতে ফোর্সদের মাঝে খাবার পরিবেশন করেন। উক্ত প্রীতিভোজে আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান,জেলা প্রশাসক নীলফামারী।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহসিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) নীলফামারী জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ। এবং সকাল ৮টায় জেলার প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠে, সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউজ ঈদগাহ মাঠ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠ, সকাল ৯টায় কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠ, কুখাপাড়া ঈদগাহ মাঠ ও জোড় দরগাহ ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রসমূহ বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা হয়েছে। জেলা কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানা এবং ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।