মোঃ ইউসুফ আলী(মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি): জেলা সমবায় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের ৭৩০ কোটি টাকা সমিতি গুলোর কাছে ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩টি সমিতির মধ্যে আল-আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, হলিটার্গেট ও রংধনু অন্যতম। ছয়টি সমিতির কাছে জমা আছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি। শুধু মাদারগঞ্জের গ্রাহক নয় এ ছাড়া ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদরের কয়েক হাজার গ্রাহক আছে।
আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহব্বায়ক শিবলুল বারী রাজুর নেতৃত্বে ২৩ মার্চ রোজ রবি বার জামালপুরের মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতি থেকে আমানতের টাকা ফেরত পেতে জামালপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক। জামালপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর আমানতের টাকা উদ্ধারে প্রশাসন পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন তবে প্রশাসন পাশে থাকেনি তাই আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহব্বায়ক শিবলুল বারী রাজুর ছেলে রৌদ্র নেতৃত্বে ০৬ এপ্রিল রোজ রবিরার মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল এর ডাক দেয় ৷
বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল এর ১৬দিন পর মঙ্গলবার দিনগত রাত্রিতে আনুমানিক রাত ১২টার পর আল আকাবা সমবায় সমিতির পরিচালক, মাহবুবুর রহমান মাহবুবকে আমানতের গ্রাহকরা আটক করে জুতার মালা গলায় দিয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় ৷
এরপর মাদারগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ চালান দেওয়ার সিধান্ত নেয়, কিন্তু গ্রাহকরা প্রশাসনের এই সিধান্তে একমত নয় ৷ গ্রাহকরা চায় গ্রেফতারকৃত আল-আকাবা এর পরিচালক মাদারগঞ্জ মডেল থানায় থাকা অবস্থায় তাদের আমানতের টাকার ফেরতের সিধান্ত আসুক ৷ তাই তারা এস এস সি পরিক্ষার্থীদের কথা ভেবে দুপুর ২টার পর থেকে রাস্তা অবরুধ করে ফলে মাদারগঞ্জ টু জামালপুর যান চলাচল বন্ধ ৷ গ্রেফতারকৃত আসামী মাহবুবুর রহমান মাহবুবকে মাদারগঞ্জ মডেল থানা থেকে স্থানান্তিত করার উদ্দেশ্যে Rab সেনাবাহিনী আসে ৷
কিন্তু আমানতের গ্রাহকদের রাস্তা অবরুদের কারনে প্রশাসন মাদারগঞ্জ মডেল থানা পযন্ত পৌছাতে পারেনি ৷ দৈনিক স্বাধীন কাগজ এর মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ইউসুফ আলী এর সাক্ষাতকারে আমানতের অর্থ উদ্ধার কারী কমিটির আহব্বায়ক শিবলুল বারী রাজু বলেন, আমাদের আমানতের টাকা ফেরত পেতে প্রয়োজনে আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজি ৷ প্রশাসন যদি প্রতারকদের পক্ষে কাজ করে, এমন প্রশাসন আমাদের প্রয়োজন নেই ৷